close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

বিএনপি ও আ.লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে মিলেমিশে চাঁ'দা'বা'জি'র অভিযোগ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের দাবি, কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা তার কাছে চাঁদা দাবি করে মারধর করে পালায়। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।..

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা মিলে এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন ভুক্তভোগী।

বুধবার (৯ জুলাই) রৌমারী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী মোতালেব হোসেন, যিনি বাইটকামারী গ্রামের বাসিন্দা এবং পেশায় একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য। বর্তমানে তিনি বাইটকামারী বাজারে সিটি ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।

অভিযোগে মোতালেব হোসেন উল্লেখ করেন, গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা একত্র হয়ে তার দোকানে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বন্দবেড় ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিবুর রহমান মামুন, উপজেলা তাঁতী দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বাছেদ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন।

মোতালেব হোসেন জানান, তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন, বিশেষ করে জিয়াউর রহমান নামের একজন দ্রুত এগিয়ে আসেন এবং তাকে উদ্ধার করে একজন পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান।

ঘটনার প্রমাণ হিসেবে তার কাছে রয়েছে দোকানে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ, যা প্রমাণ হিসেবে পুলিশকে প্রদান করা হয়েছে।

অন্যদিকে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন বক্তব্য এসেছে। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মনিবুর রহমান মামুন সাংবাদিকদের জানান, “বাইটকামারী হাট ও ঘাট আমার নামে ইজারা নেওয়া। মোতালেব এবং তার ভাই ট্রলার দিয়ে বালুর ব্যবসা করে। ঘাটের টোলের টাকা চাইতে গেলে সে আমাদের উল্টো গালিগালাজ করে।”

এই ঘটনায় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিকাশ চন্দ্র রায় বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব এসআই মোসাদ্দেক হোসেনকে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এদিকে এলাকার মানুষ এই ঘটনায় হতবাক। দুই বিপরীত রাজনৈতিক দলের নেতারা একত্র হয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে জড়িত—এমন ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এখন দেখার বিষয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। তবে ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি ভাইরাল হয়ে পড়েছে এবং নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে — রাজনীতি কি এখন চাঁদাবাজির জোটে পরিণত হচ্ছে?

Walang nakitang komento