বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর সভাপতি, আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান শওকত আজিজ রাসেল গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
এই বৈঠকে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা, শিল্প খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। শওকত আজিজ রাসেল আগামী এফবিসিসিআই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেন এবং বেসরকারি খাতের অগ্রযাত্রা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে একটি গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই। আমরা জনগণের সরকারের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছি, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ও দারিদ্র্য বিমোচনে বেসরকারি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে।”
শওকত আজিজ রাসেল আরও বলেন, “বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারক। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের যুগে বেসরকারি শিল্প ও ব্যবসায়িক উদ্যোগের গুরুত্ব আজও অপরিসীম। বর্তমান সরকারের আমলে দুর্নীতির কারণে অর্থনীতির প্রধান অঙ্গগুলো বিপর্যস্ত হয়েছে। আমরা দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে বিএনপিকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
অর্থনীতির বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় এই বৈঠক থেকে দুই পক্ষই একমত হয়েছেন যে বেসরকারি খাতের উন্নয়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধে শক্ত পদক্ষেপ জরুরি। তাঁরা দেশের শিল্প ও ব্যবসায়ের উন্নয়নে একযোগে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এছাড়া, বৈঠকে বেসরকারি খাতের সঙ্গে সরকারের সুসম্পর্ক গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা, বিনিয়োগ বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত করা এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। শিল্পখাতের আধুনিকায়ন এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের দিকেও দৃষ্টি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকের শেষ প্রান্তে শওকত আজিজ রাসেল বলেন, “দেশের অর্থনীতি ও শিল্প খাতের উন্নয়নের জন্য একটি স্বচ্ছ, কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রয়োজন। বিএনপির নেতৃত্বে এমন সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ব্যবসায়িক পরিবেশ স্বাভাবিক হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিশ্চিত হবে।”
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া বাড়াতে চাই এবং তাদের সমস্যা ও চাহিদা গভীরভাবে বুঝতে চাই। দেশের উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই তাদের সহযোগিতায় আমরা কাজ করব।”
এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল ও বেসরকারি খাতের নেতারা একসঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণে একটি নতুন পথ তৈরি করার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন।