close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

“বিএনপি বাধ্য হবে ইউনূসকে সরাতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যৌথ মঞ্চে যেতে”—ভারতীয় সাংবাদিক রক্তিম দাসের ভবিষ্যদ্বাণী..

Abdullah Al Mamun avatar   
Abdullah Al Mamun
ভারতের বিশিষ্ট সাংবাদিক রক্তিম দাস সম্প্রতি রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলের এক আলোচনায় বাংলাদেশের রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।..

তিনি দাবি করেন, দেশের চলমান অস্থির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপি একসময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে যৌথভাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরাতে মাঠে নামতে বাধ্য হবে।

"বিএনপি দ্রুত ভারতবন্ধু হওয়ার চেষ্টা করবে"

রক্তিম দাস বলেন,

“যতদিন যাবে বিএনপি যেভাবে আজকে ভারত বিরোধিতা করছে, সেই বিএনপি ভারত বিরোধিতার জায়গা ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ভারতের কাছে আসতে চাইবে। কারণ ভারতই পারে একমাত্র নির্বাচনটা দিতে বাধ্য করাতে। তাই বিএনপি খুব দ্রুত ভারতবন্ধু হওয়ার চেষ্টা শুরু করে দেবে—আর ক’ দিনের মধ্যেই, আমি ভবিষ্যদ্বাণী করে দিচ্ছি।”

তার মতে, বিএনপি-র রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ভবিষ্যতে ভারতকে কৌশলগতভাবে আপন করে নিতে হবে। তিনি আরও ইঙ্গিত দেন, বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে ভারতের ভূমিকা হবে গুরুত্বপূর্ণ।

“আওয়ামী লীগের সঙ্গে যৌথ মঞ্চ গঠনেও বাধ্য হবে বিএনপি”

রক্তিম দাসের আরও বিস্ফোরক মন্তব্য ছিল:

“বিএনপি যতই আওয়ামী লীগ বিরোধিতা করুক না কেন, যখন তারা একক প্রচেষ্টায় ইউনূসকে সরাতে পারবে না, তখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে যৌথ মঞ্চ করে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে। ঠিক যেমন খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা এক সময় এরশাদবিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে রাস্তায় নেমেছিলেন।”

তিনি দাবি করেন, বিএনপি যদি সত্যিই ক্ষমতায় ফিরে আসতে চায়, তাহলে তাদের সামনে দুটি পথ—এক, ভারতকে কৌশলগতভাবে আপন করে নেওয়া; দুই, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বা ইউনূসকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিহত করা।

 “বিএনপি আফটার অল একটা গণতান্ত্রিক দল”

রক্তিম দাসের কথায়,

“বিএনপি আফটার অল একটা গণতান্ত্রিক দল। তারা রাজনীতি করতে চায়। তারা বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসতে চায়। তাই তারা বাধ্য হবে রাজনৈতিক বাস্তবতা মেনে নিতে।”

তার এই বক্তব্যে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলে নানান প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, দাসের কথায় ভবিষ্যতের সম্ভাব্য একটি রাজনৈতিক বাস্তবতার ছায়া রয়েছে।

রক্তিম দাসের বক্তব্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ভারত-সংলগ্ন একটি নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত স্পষ্ট। এই মন্তব্য কীভাবে রাজনৈতিক দলগুলো গ্রহণ করে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Keine Kommentare gefunden