ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বিবাহ মানুষের জন্য একটি পবিত্র ও অপরিহার্য সম্পর্ক যা শুধুমাত্র সামাজিক স্বীকৃতি নয়, বরং পাপাচার থেকে মুক্ত থাকার পথও। তিনি বলেন, আদর্শ পরিবার গঠন, জৈবিক চাহিদা পূরণ এবং মানসিক প্রশান্তির জন্য বিবাহের বিকল্প নেই।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজ কনভেনশন হলে আয়োজিত এক গণবিবাহ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ওয়ার্ল্ড এসেম্বলি অব মুসলিম ইয়ুথ (ওয়ামি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “আজকের সমাজে বিবাহ নিয়ে যে জটিলতা, বিলম্ব এবং বিলাসিতা তা একপ্রকার সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। অথচ ইসলাম সহজ ও স্বাভাবিক উপায়ে বিয়ের নির্দেশ দিয়েছে। যারা বিবাহকে সহজ করে, তারা আসলে সমাজকে সুস্থ রাখার কাজ করেন।”
তিনি আরো বলেন, “বিয়ে শুধু দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সামাজিক প্রতিষ্ঠান। পরিবার গঠনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বক্তারাও বিয়ের সামাজিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিশেষ করে তরুণদের মাঝে বিয়ের আগ্রহ কমে যাওয়ার প্রবণতা এবং অবৈধ সম্পর্ক বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গণবিবাহের মতো আয়োজনগুলোকে সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করেন তারা।
অনুষ্ঠানে প্রায় ২৫ জোড়া নবদম্পতির বিবাহ সম্পন্ন হয়। আয়োজক ওয়ামির পক্ষ থেকে বর-কনেদের জন্য উপহারসামগ্রী এবং দাম্পত্য জীবন শুরুর জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তাও প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে ধর্ম উপদেষ্টা নবদম্পতিদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা আজ একটি পবিত্র সম্পর্কে যুক্ত হয়েছেন। এই সম্পর্ক যেন বিশ্বাস, শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়, তা নিশ্চিত করুন। কারণ একটি সুখী পরিবার গঠনের মাধ্যমে আপনি নিজেকে, সমাজকে এবং জাতিকে উপকৃত করতে পারেন।”
এ আয়োজনের মাধ্যমে organizers প্রমাণ করলেন, বিয়ে শুধু বিলাসিতা নয়—সামাজিক দায়িত্ব ও ধর্মীয় কর্তব্য হিসেবেও পালন করা যায়।



















