কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বিয়ের মাত্র তিন সপ্তাহের মাথায় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার কলেজপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে বিজলী খাতুন (২৮) নামের ওই নারীর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ রাত আটটার দিকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২১ দিন আগে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার বেলাল হোসেনের মেয়ে বিজলী খাতুনের সঙ্গে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ তিলাই গ্রামের রুবেল হোসেনের বিয়ে হয়। তবে রুবেল তার আগের বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখে সদরের কলেজ পাড়ায় ভাড়া বাসায় দ্বিতীয় স্ত্রী বিজলীকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে রুবেলের প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে শুরু হয় বিরোধ। এর জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও কলহ দেখা দেয়। প্রথম স্ত্রীর দুইটি সন্তান রয়েছে।
এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে যে কোনো সময় ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন বিজলী খাতুন। খবর পেয়ে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে বিজলী খাতুনের অন্য জায়গায় বিয়ে হয়েছিল এবং একটি সন্তান রয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজলী খাতুনের বড় বোন ও তার বাবা বলেন, রুবেলের সাথে সম্পর্ক কথা জানাজানি হলে তারা অন্যত্র বিয়ে দিতে চাইলেও রাজি হয় না। শেষে বাড়ি থেকে চলে আসে। আজ ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে থানায় আসি।
ওসি আল হেলাল মাহমুদ জানান, নিহত নববধূর পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হলে তারা থানায় উপস্থিত রয়েছেন। তার বাবা বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মেয়ের নিকট দুইটি মোবাইল ছিল যা পুলিশ হেফাজতে রেখে ঘটনার তদন্ত চলছে এবং স্বামী রুবেল হোসেনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।