close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় গ্রেফতার হওয়া সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে শিগগিরই ঢাকায় স্থানান্তর করা হচ্ছে। বর্তমানে তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের হেফাজতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আটকের সময় তার গোপনাঙ্গ থেঁতলে যাওয়ায় তাকে দুই দফা অপারেশন করতে হয়েছে। এখনও তার অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঢাকার আদাবর থানা এলাকায় পোশাকশ্রমিক রুবেলকে হত্যার ঘটনায় রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ২২ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদসহ মোট ১৫৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, ওই মামলায় শুনানির জন্য ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে ঢাকার আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে তাকে ঢাকায় নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তবে শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করবে তাকে কখন এবং কবে ঢাকায় নেওয়া হবে। বর্তমানে তিনি ওসমানী হাসপাতালে সাধারণ কেবিনে কারা হেফাজতে রয়েছেন।
গত শনিবার সন্ধ্যায় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরে বেশ কয়েকটি জখম এবং স্পর্শকাতর স্থানে আঘাত ছিল। সেদিন রাতে দুই দফা অস্ত্রোপচার শেষে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়।
২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত এলাকা থেকে সাবেক বিচারপতি মানিককে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরদিন আদালতে হাজির করার সময় তিনি জনরোষের শিকার হন। ক্ষুব্ধ জনতা তার দিকে ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করে এবং তাকে মারধরও করা হয়। এরপর, রোববার রাতে কানাইঘাট থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে মামলা করে।
Không có bình luận nào được tìm thấy