close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
ভোটারের বয়স ১৭ বছর করার প্রস্তাব নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কড়া সমালোচনা করেছেন। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, "আপনি প্রধান উপদেষ্টা হয়ে বলছেন, ভোটারের বয়স ১৭ হলে ভালো হয়। এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। এটি নির্বাচন কমিশনের কাজ, তাদের ওপর ছেড়ে দিন। ১৮ বছর বয়স তো সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য। যদি পরিবর্তন করতে চান, নির্বাচন কমিশন প্রস্তাব করুক।"
আলোচনার পটভূমি:
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত "দলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা" শীর্ষক সভায় এই মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। জাগপার সভাপতি লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
বয়স ইস্যুতে ফখরুলের পরামর্শ:
বিএনপি মহাসচিব বলেন, "রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলুন। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে এই প্রস্তাব আনা উচিত ছিল। তা হলে কোনও বিতর্কের সৃষ্টি হতো না। এখন মানুষের মনে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে যে, নির্বাচন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার পরিকল্পনা চলছে।"
তিনি আরও যোগ করেন, "আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চেয়েছিল। এই দল কখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। ১৯৭১ পরবর্তী সময়ে দুর্নীতি এবং গুম-খুনের প্রথা শেখ মুজিবুর রহমানের আমলেই শুরু হয়েছিল।"
সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা:
মির্জা ফখরুল বলেন, "সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি কোনো নতুন ধারণা নয়। তবে, সংস্কারের অজুহাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা ঠিক নয়। জনগণের দাবি হলো দ্রুত একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন।"
তিনি আরও বলেন, "সরকারের উচিত জনগণের চাহিদা বোঝা এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া। নির্বাচিত সরকারই সংকট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।"
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রসঙ্গ:
তিনি অভিযোগ করেন, দেশের সংকট দিন দিন বেড়েই চলেছে। সাধারণ মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। সরকারের উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, "অনেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন এবং রাজনীতিবিদদের মতো বক্তৃতা দিচ্ছেন। রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ না ভেবে তাদের সহযোগিতা নিন।"
ড. ইউনূস প্রসঙ্গে আশাবাদ:
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আশাবাদ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, "আমরা বিশ্বাস করি সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে এবং দ্রুত একটি নির্বাচনের আয়োজন করবে।"
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তার বক্তব্য:
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদসহ আরও কয়েকজন নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। তারা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই একমাত্র সমাধান।
শেষ কথা:
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে উঠে এসেছে সরকারের দায়িত্বশীল ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান। জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় সংকটের নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।
कोई टिप्पणी नहीं मिली