close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ভোটারদের নিয়ে নিজেই শপথ পড়ার ঘোষণা ইশরাকের

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা দক্ষিণে মেয়র হিসেবে শপথ নিতে নিজের প্রস্তুতির কথা জানালেন ইশরাক হোসেন। বললেন, “এই নগর ভবন জনগণ পরিচালনা করবে, কোনো ‘বহিরাগত উপদেষ্টা’ নয়।” পাশাপাশি সরকারকে দিলেন দুর্বার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি।..

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নির্বাচিত মেয়রের শপথ গ্রহণ নিয়ে চলমান রাজনৈতিক জটিলতা ও সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী ইশরাক হোসেন। নগর ভবনের সামনে এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি জানান, সরকার যদি আর বিলম্ব করে, তাহলে তিনি জনগণের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেই শপথ পাঠ করবেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, “এই নগর ভবন কীভাবে চলবে তা ঠিক করবে ঢাকাবাসী। কোনো অদৃশ্য উপদেষ্টা বা সরকারনিয়োজিত প্রশাসক দিয়ে এই শহর চালানো যাবে না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবেই আমি দায়িত্ব পালন করব, আর সেটা শপথ নিয়ে শুরু হবে।

 

ইশরাক দাবি করেন, মেয়র পদে দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে সরকারের টালবাহানাই প্রমাণ করে যে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের আর কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, “সরকার একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। তারা এখন নিজেরাই বুঝতে পারছে—জনগণের সামনে আর বিশ্বাসযোগ্য নয়।”

তিনি বলেন, “বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ যে সরকারের নিরপেক্ষতা রক্ষা করতে পারছে না, তা জনগণ বুঝে গেছে। জনগণ চায় না যে আবার কোনো চক্রান্তকারী প্রশাসক এসে নগর ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেবে।”

 

চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয়ে ইশরাক জানান, “ঈদ সামনে রেখে আমরা ঢাকাবাসীর দুর্ভোগ বিবেচনা করে নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেছি। তবে আন্দোলন থেমে যায়নি—ঈদের পরে এই আন্দোলন দুর্বার রূপ নেবে।”

তিনি আরও বলেন, “এই আন্দোলন কেবল একটি শপথ গ্রহণ নয়, এটি ভোটের মর্যাদা রক্ষার আন্দোলন। জনগণ যখন ভোট দিয়েছে, তখন তাদের ইচ্ছা উপেক্ষা করে কাগজে-কলমে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।”

 

ইশরাক হোসেন বলেন, “সরকার যদি মনে করে তারা আইনি জটিলতা বা প্রশাসনিক বাধার অজুহাত দেখিয়ে একজন বৈধ মেয়রের শপথগ্রহণ ঠেকাবে, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। জনগণ এবার বুঝে গেছে, তাদের পছন্দকে বাতিল করে সরকার কীভাবে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চাইছে।”

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “ঢাকাবাসীর ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি আমি। জনগণকে সাথে নিয়ে আমি শপথ নেব। প্রশাসনের অনুমতি না থাকলে জনগণের অনুমতিতেই শপথ গ্রহণ হবে।”

 

ইশরাক হোসেনের বক্তব্যে পরিষ্কার যে, তিনি এই আন্দোলন থেকে একচুলও পেছানোর পক্ষে নন। তার মতে, শহরের দায়িত্ব জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনরুদ্ধার করতে হবে। আর সেটিই হবে আন্দোলনের মূল লক্ষ্য।

لم يتم العثور على تعليقات


News Card Generator