close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
দেশের ভোটার হওয়ার বয়স বর্তমানে ১৮ বছর। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর করার প্রস্তাব দিয়েছেন, যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তপ্ত আলোচনা।
আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরুর কথা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) মনে করছে, যদি আইনে পরিবর্তন এনে ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ করা হয়, তবে হালনাগাদ কার্যক্রম ও নির্বাচনী প্রস্তুতিতে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে পারে। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ১৭ বছর বয়স করার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন।
নির্বাচন বিশ্লেষক মুনিরা খান মনে করেন, ভোটার হওয়ার বয়স কমানো হলে আইনগত অসামঞ্জস্য দেখা দেবে। উদাহরণস্বরূপ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিবাহ আইনসহ বিভিন্ন নাগরিক অধিকার ও দায়িত্বে বয়সসীমা পরিবর্তন করতে হতে পারে।
নতুন ভোটার সংখ্যা কত বাড়তে পারে?
বর্তমান খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী, দেশে মোট ভোটার ১২ কোটি ৩৬ লাখ। ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ করলে নতুন ভোটার যুক্ত হতে পারে ৫০-৬০ লাখ। এটি নির্বাচনের ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
তরুণদের যুক্ত করার যুক্তি
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, "তরুণদের ভোটের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে ভূমিকা রাখতে দেওয়া উচিত। পরিবর্তনের প্রতি তাদের আগ্রহ বেশি।"
ইসির প্রস্তুতি ও চ্যালেঞ্জ
ইসি জানিয়েছে, আইন পরিবর্তন হলে নতুন বয়সসীমা অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা সম্ভব। তবে তা দ্রুত না হলে হালনাগাদ প্রক্রিয়া ও জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার তরুণ প্রজন্মকে সুযোগ দেওয়ার পক্ষে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, "যথাসময়ে নির্বাচন আয়োজন করতে হলে বয়স পরিবর্তনের প্রস্তাব নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুত নিতে হবে।"
শেষ কথা
ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ করা হলে তরুণদের ভোট প্রদানের সুযোগ বাড়বে। তবে এটি জাতীয় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সময় ও প্রস্তুতিতে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
আপনার মতামত কি? তরুণদের ভোটার করার এই প্রস্তাব কি দেশে পরিবর্তনের নতুন দুয়ার খুলে দিতে পারে, নাকি তা নির্বাচনী জটিলতা বাড়াবে?
No comments found