close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ভারতকে পূর্ণ শক্তিতে জবাব দিতে প্র স্তুত পাকি স্তান!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক চরম উত্তেজনায়। পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের হুঁশিয়ারি দিল পাকিস্তান! সীমান্তে সেনা জড়ো, ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া—যেকোনো সময় শুরু হতে পারে সংঘর্ষ!..

ভারতের সম্ভাব্য সামরিক আগ্রাসন রুখতে সর্বশক্তি প্রস্তুত রেখেছে পাকিস্তান: রাশিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, হুমকি আর উত্তেজনার মাঝেই সামনে এল এক ভয়ঙ্কর বার্তা—ভারতের সামরিক আগ্রাসনের পরিকল্পনার খবর পেয়েছে পাকিস্তান, এবং এমন হলে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের দিকেও যেতে পারে ইসলামাবাদ!

রাশিয়ায় নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ খালিদ জামালি সম্প্রতি রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আরটি-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে যে ভারত খুব শিগগিরই পাকিস্তানের ওপর সামরিক হামলা চালাতে পারে। কিছু গোপন নথি এবং পরিকল্পনা ফাঁস হয়েছে, যা থেকে এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়—আক্রমণ আসন্ন।”

তিনি আরো বলেন, “ভারত যদি আমাদের কোনো অঞ্চলে সামরিক আগ্রাসন চালায় বা সিন্ধুর পানির প্রবাহ ব্যাহত করে, তাহলে পাকিস্তানও বসে থাকবে না। আমরা প্রচলিত বাহিনী এবং পরমাণু শক্তির পূর্ণ ব্যবহার করতে প্রস্তুত।”


সিন্ধু পানি চুক্তিকে কেন্দ্র করেও উত্তেজনা

কাশ্মীর হামলার জের ধরে ভারতের তরফ থেকে ১৯৬০ সালের ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। একে পাকিস্তানের ওপর একপ্রকার জলযুদ্ধ হিসেবেই দেখছে ইসলামাবাদ। এই চুক্তি স্থগিতের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত বলেন, “যদি ভারত পানির প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করে, তাহলে সেটা হবে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার সমান। এরও জবাব আমরা সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে দেব।”

পাকিস্তান এর জবাবে সিমলা চুক্তি বাতিল এবং ভারতীয় বিমানের জন্য আকাশসীমা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের সঙ্গে সকল ধরণের বাণিজ্যিক সম্পর্কও।


সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতির ছায়া

কাশ্মীর সীমান্তে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। দুই দেশই সীমান্তে সেনা মোতায়েন করছে, চলছে বড় পরিসরের সামরিক মহড়া। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিন বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন যেকোনো হামলা ঠেকাতে। একইভাবে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানও জানিয়েছেন, তারা যেকোনো পরিস্থিতিতে জবাব দিতে প্রস্তুত।

ভারতের পক্ষ থেকে কয়েকটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়েছে, যার জবাবে পাকিস্তানও সম্প্রতি ৪৫০ কিলোমিটার রেঞ্জের ‘আবদালি’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উৎক্ষেপণ করেছে। ইসলামাবাদ জানিয়েছে, এটি ছিল ‘সিন্ধু মহড়ার’ অংশবিশেষ।


আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার আহ্বান

এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, “কাশ্মীর হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দুদেশের মধ্যকার উত্তেজনা হ্রাসে চীন ও রাশিয়ার মতো শক্তিগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি আরও যোগ করেন, “উভয় দেশ পারমাণবিক শক্তিধর, তাই সংঘাতের ঝুঁকি শুধু এই অঞ্চলে নয়, পুরো বিশ্বের জন্য হুমকি হতে পারে।”


সাধারণ মানুষের মনে ফের যুদ্ধ আতঙ্ক

গত সপ্তাহে ভারতের পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সেনানিবাস এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় একটি ব্ল্যাকআউট মহড়া। আগেভাগেই নাগরিকদের জানানো হলেও মহড়ার পর থেকে এলাকা জুড়ে দেখা দিয়েছে থমথমে অবস্থা। যারা ১৯৬৫, ১৯৭১ বা কারগিল যুদ্ধের সাক্ষী ছিলেন, তাদের অনেকে বলছেন—মহড়াটি যেন সেই পুরনো স্মৃতিকে ফিরিয়ে এনেছে। যুদ্ধের পদধ্বনি যেন আবারও কানে বাজছে।


কোন পথে যাচ্ছে উপমহাদেশ?

কাশ্মীরের রক্তাক্ত মাটিতে আরেকবার যেন অশনি সংকেত দেখা দিয়েছে। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তানের মদদেই ঘটে চলেছে সীমান্তে সন্ত্রাস। আর পাকিস্তান বলছে, ভারতের পরিকল্পিত আগ্রাসনই বড় বিপদের কারণ।

উভয় দেশের এমন হুমকি-ধমকি, সেনা মোতায়েন আর ক্ষেপণাস্ত্র মহড়ার মধ্যে বিশ্ববাসীর প্রশ্ন—একি তবে যুদ্ধের প্রস্তুতি? এর শেষ কোথায়?

Aucun commentaire trouvé