close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান ও প্রথম প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াত হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন। তামিলনাড়ুর কুন্নুর এলাকায় এমআই-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়ে রাওয়াত, তার স্ত্রীসহ মোট ১২ জনের প্রাণহানি ঘটে। প্রায় তিন বছর পর, ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ এর দুর্ঘটনার মূল কারণ উন্মোচন করেছে। ১৯ ডিসেম্বর লোকসভায় জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণ ছিল পাইলটের ভুল, যা এক্সপার্টরা "হিউম্যান এরর" হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
দুর্ঘটনার বিস্তারিত
হেলিকপ্টারটি ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর সুলুর বিমানবাহিনী ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে এবং তার গন্তব্য ছিল ওয়েলিংটনে ডিফেন্স সার্ভিস স্টাফ কলেজে একটি অনুষ্ঠান। সকাল ১১:৫০ মিনিটে উড্ডয়ন করার পর, ১০ কিলোমিটার দূরে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তারা বিমানের ডেটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার পরীক্ষা করেছেন এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার প্রধান কারণ ছিল আচমকা আবহাওয়া পরিবর্তন। যেকারণে হেলিকপ্টারটি মেঘের মধ্যে চলে যায়, যার ফলে পাইলটরা তাদের অবস্থান সম্পর্কে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন এবং স্প্যাটিয়াল ডিসওরিয়েন্টেশন (স্থানিক বিভ্রান্তি) সৃষ্টি হয়, যা নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলে দুর্ঘটনায় পরিণত হয়।
এই দুর্ঘটনায় কী ভুল হয়েছিল?
প্রতিবেদনটি সাফ জানিয়েছে যে, দুর্ঘটনার পেছনে কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি বা অন্তর্ঘাতের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং, পাইলটের ভুলের কারণে এটি ঘটেছে। বিমান বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, মানবিক ভুলের কারণে আরও ১৬টি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এর মধ্যে এই দুর্ঘটনাও অন্যতম।
বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ
এই দুর্ঘটনায় বিমানটির একমাত্র জীবিত ব্যক্তি ছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুন সিং, যিনি দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার হন।
এখন, এই নতুন প্রতিবেদনটি সামনে আসার পর ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচ্চ মহল ও সাধারণ জনগণের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আরও যত্নশীল মনোযোগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এটি ভারতের সামরিক ইতিহাসের অন্যতম শোকাবহ ও মর্মান্তিক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
コメントがありません