শেখ হাসিনার অবস্থান ভারতের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তীর মতে, শেখ হাসিনা দীর্ঘদিনের বন্ধু হওয়ায় ভারত তাকে বিপদের মুখে ঠেলে দেবে না। চক্রবর্তী বলেন, ভারত কখনো রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের জোর করে ফেরত পাঠায় না, যেমন দালাই লামার ক্ষেত্রে দেখা গেছে।
তিনি বলেন, ‘ভারতে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের আমরা কখনো জোর করে ফেরত পাঠাই না। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হবে না।’
সামাজিক মাধ্যমে বক্তব্য ও কূটনৈতিক দূরত্ব
ভারত শেখ হাসিনাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি দিলেও, তার বক্তব্য থেকে নিজেদের দূরত্ব বজায় রেখেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তার বক্তব্য ব্যক্তিগত মতামত এবং ভারতের নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
ভারত কি শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে?
বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যর্পণ অনুরোধের বিষয়ে ভারত এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, ভারত এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে, যদি মনে করে মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
মোদি ও দোভালের গোপন বৈঠক
নয়াদিল্লির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে মাঝে মাঝে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তবে এসব বৈঠক খুবই সীমিত এবং গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অনুষ্ঠিত হয়।
ভবিষ্যৎ কী?
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারত ধীরে ধীরে শেখ হাসিনার অবস্থানের আনলকিং প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। তবে সেটি কবে এবং কীভাবে হবে, তা এখনো অনিশ্চিত। শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ভারতের কৌশলগত সিদ্ধান্তের ওপর।
শেষ কথা: ভারত এখনো শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়নি, তবে জোর করে ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনাও নেই। তবে ভারত কতদূর যাবে, তা পুরোপুরি নির্ভর করছে ভবিষ্যতের কূটনৈতিক সমীকরণের ওপর।