close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পরও বাংলাদেশের ব্যবসায় বড় কোনো ক্ষতি হবে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পরেও বাংলাদেশের ব্যবসায় কোনো বড় ধরনের সংকট সৃষ্টি হবে না, এমনই দাবি বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের। তৈরি পোশাক খাতের শিপমেন্টে সামান্য বিঘ্ন ঘটলেও দ্রুত তা কাটিয়ে ওঠা..

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পর বাংলাদেশের ব্যবসায়িক খাতে কোনো বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, "ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে বাংলাদেশের রফতানি বা ব্যবসার ওপর দীর্ঘমেয়াদী কোনো ক্ষতি হবে না। এটি সাময়িকভাবে কিছু সমস্যার সৃষ্টি করলেও দ্রুত তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।"

দেশের তৈরি পোশাক খাতের শিপমেন্টে সামান্য বিঘ্ন:

এদিকে, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের কারণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের শিপমেন্টে কিছুটা বিঘ্ন ঘটতে পারে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এটি সাময়িক ব্যাপার এবং এর প্রভাব খুব শিগগিরই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। আগামী সপ্তাহে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিজিএমইএসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সাথে বৈঠক করে সম্ভাব্য বিকল্প পথ খুঁজবে।

বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ:

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, "আমরা প্রথমে দেশের বিমানবন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কাজ শুরু করবো, যাতে পরিবহন ও শিপমেন্টে কোনো ঘাটতি না ঘটে। আমাদের লক্ষ্য রফতানি ব্যাহত না হওয়ার জন্য সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা।"

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের বিষয়ে শঙ্কা নেই:

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের বিষয়টি বাংলাদেশে কিছুটা আলোচনার সৃষ্টি করেছে। তবে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের মতে, বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তিনি বলেন, "এই সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য হঠাৎ আরোপিত হয়েছে। আমরা দ্রুত বিষয়টি সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং আশাবাদী যে খুব শিগগিরই এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠবো।"

ভারতকে চিঠি দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই:

এ বিষয়ে কোনো পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভারতকে চিঠি দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন জানান, "এটি বর্তমানে আমাদের বিবেচনায় নেই। আমরা নিজস্ব সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগী।" তিনি আরও বলেন, "আমরা প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধি করব এবং কোনো সমস্যা ছাড়াই রফতানি চালিয়ে যাবো।"

রফতানি হার ও বিকল্প ব্যবস্থার খোঁজ:

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ ৪০-৫০ হাজার টনের মতো পণ্য রফতানি করতো, যার মধ্যে বেশিরভাগই ইউরোপীয় দেশগুলোতে যেত। তবে, ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের পর, বাংলাদেশ বিকল্প পথ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে, যাতে রফতানি ব্যাহত না হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক:

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আরও বলেন, "আমাদের বাণিজ্য শুল্ক স্থগিত থাকার বিষয়টি বেশ ইতিবাচক। আমরা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে আরও আলোচনা করছি। আশা করি, শিগগিরই কিছু ভালো খবর পাবো।"

এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন যে, এই স্থগিতাদেশ সাময়িক এবং এটি দীর্ঘমেয়াদী সমাধানে পরিণত হতে পারে, যদি বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়।

Inga kommentarer hittades