ভারতের সীমান্ত বর্তী চেক পো'স্ট-বা'ঙ্কার গুঁ'ড়িয়ে দিয়েছে পাকি'স্তান..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কাশ্মীর সীমান্তে নতুন উত্তেজনা! বিনা উসকানিতে গুলি চালানোর অভিযোগে ভারতীয় চেকপোস্ট ও বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিল পাকিস্তান। দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের এই সংঘর্ষ ঘিরে বাড়ছে যুদ্ধের শঙ্কা।..

কাশ্মীর সীমান্তে ফের দাউ দাউ করে জ্বলছে উত্তেজনার আগুন। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখা (Line of Control - LoC) বরাবর পাকিস্তান ও ভারতের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পাল্টা জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একাধিক চেকপোস্ট ও বাঙ্কার ধ্বংস হয়ে গেছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, ২৯ এপ্রিল রাত থেকে ৩০ এপ্রিল ভোর পর্যন্ত কাশ্মীর সীমান্তে ভারতীয় সেনারা ‘বিনা উসকানিতে’ গুলি ছোড়ে। এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানি সেনারা পাল্টা গোলাবর্ষণ করে এবং সেই হামলায় ধ্বংস হয় ভারতের গুরুত্বপূর্ণ চেকপোস্ট ও বাঙ্কার।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, প্রতিশোধমূলক হামলায় ভারতের অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের চকপুত্র পোস্টসহ একাধিক বাঙ্কার টার্গেট করে আঘাত হানা হয়। ওইসব স্থানে অবস্থানরত ভারতীয় সেনাদের প্রাণহানির আশঙ্কাও করা হচ্ছে, যদিও ভারতের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানায়, কাশ্মীরের কিয়ানি এবং মন্ডল সেক্টরে ভারতীয় বাহিনী প্রথমে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি চালায়। এই বিনা উসকানির জবাবে পাকিস্তান তাদের সামরিক প্রতিরক্ষা ক্ষমতা প্রয়োগ করে ও ভারতীয় আগ্রাসনকে প্রতিহত করে দেয়।

আরও বড় সংঘাতের পথে দুই দেশ?

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত হয় ২৬ জন। সেই হামলার পর থেকেই ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে দোষারোপ করা হচ্ছে। যদিও ভারতের এই অভিযোগের কোনো প্রমাণ এখনো আন্তর্জাতিক মহলের সামনে উপস্থাপন করা হয়নি।

এই হামলার পর থেকে ভারত কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করে এবং সীমান্তে সেনা মোতায়েন ও পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নেয়। এর জবাবে পাকিস্তানও ঘোষণা করে, "যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত।"

আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ

দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সীমান্তে এমন সংঘর্ষ আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন শক্তিধর রাষ্ট্র শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। তবে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে।

 

কূটনৈতিক মহল মনে করছে, কাশ্মীর সীমান্তে নতুন করে বড় ধরনের সংঘাত শুরুর পূর্বাভাস দেখা দিচ্ছে। যদি এই সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে, তাহলে তা দক্ষিণ এশিয়ায় বড় ধরনের নিরাপত্তা সংকট তৈরি করতে পারে।

コメントがありません


News Card Generator