close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
নয়াদিল্লি: ভারতের বাজারে বিদেশি মদের দাম এক ধাক্কায় কমে গেল। সম্প্রতি ভারত সরকার আমদানি শুল্ক ৬৬ দশমিক ৬ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার ফলে বিদেশি মদ এখন আরও সস্তায় পাওয়া যাবে। বিশেষ করে আমেরিকার জনপ্রিয় বারবন হুইস্কির ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক আমেরিকা সফরের মধ্যেই এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা এসেছে।
কেন কমানো হলো শুল্ক?
সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী মোদীর আমেরিকা সফরের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। ট্রাম্প ভারত সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন, যাতে আমেরিকান পণ্যের ওপর শুল্ক হ্রাস করা হয়। ট্রাম্প স্পষ্ট জানান যে, ভারত যদি আমেরিকান পণ্যের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক বসায়, তাহলে আমেরিকাও ভারতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে একই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরই ভারত সরকার আমেরিকার জনপ্রিয় হুইস্কি বারবনের ওপর শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এতদিন ভারতে এই মদের ওপর ১৫০ শতাংশ শুল্ক বসানো হতো। কিন্তু নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তা ৬৬ দশমিক ৬ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভারতের বাজারে এই বিদেশি হুইস্কির দাম অনেকটাই কমে যাবে।
অন্যান্য বিদেশি মদের শুল্ক কি কমেছে?
যদিও বারবন হুইস্কির ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তবে অন্যান্য বিদেশি মদের আমদানি শুল্ক এখনও ১০০ শতাংশই থাকছে। ফলে অন্যান্য বিদেশি ব্র্যান্ডের মদ আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হবে।
ভারতে বারবন হুইস্কির জনপ্রিয়তা
বারবন হুইস্কি মূলত কর্ন বা ভুট্টার দানা দিয়ে তৈরি করা হয় এবং এটি আমেরিকার অন্যতম জনপ্রিয় মদ। ভারতে এই মদের চাহিদা দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত আর্থিক বছরে ভারত প্রায় ২৫ লাখ ডলারের বারবন হুইস্কি আমদানি করেছিল।
ভারতীয় মদের বাজারে এর প্রভাব
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদেশি মদের দামের এই পরিবর্তন ভারতীয় মদ প্রস্তুতকারকদের ওপর কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ, বিদেশি ব্র্যান্ডের মদ আরও সহজলভ্য হয়ে গেলে ভারতীয় ব্র্যান্ডের প্রতিযোগিতা কঠিন হয়ে উঠবে। তবে অনেকেই মনে করছেন, এই পরিবর্তনের ফলে উচ্চবিত্ত এবং বিলাসবহুল পণ্য ক্রয়ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা উপকৃত হবেন।
সিদ্ধান্তের ভবিষ্যৎ প্রভাব
এই সিদ্ধান্ত ভারতের আমদানি-বাণিজ্য সম্পর্কেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। আমেরিকার সাথে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি ভবিষ্যতে কীভাবে ভারতের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে।
لم يتم العثور على تعليقات