ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত পোল্ট্রি ফার্মগুলোর লিটার (মুরগির বিষ্ঠা) ব্যবস্থাপনার অব্যবস্থা রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ভালুকা উপজেলা প্রশাসন। সম্প্রতি উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে লিটার ব্যবস্থাপনায় গাফিলতির জন্য প্যারাগণ ও সিপি বাংলাদেশ কো: লিমিটেডকে যথাক্রমে মোট ৪ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ সময় প্রতিষ্ঠান দুটিকে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বায়োগ্যাস প্লান্ট ও কম্পোস্ট প্লান্ট নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসাথে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদেরকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হবে।
ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত তদারকির ফলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন-সিপি বাংলাদেশ, প্যারাগণ ও ওয়েসিস লিমিটেড-লিটার ব্যবস্থাপনায় দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখিয়েছে এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে। ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে খুব শীঘ্রই ভালুকা লিটারের অভিশাপ থেকে মুক্ত একটি পরিবেশবান্ধব উপজেলা হিসেবে গড়ে উঠবে।
এছাড়াও ব্যক্তিমালিকানাধীন পোল্ট্রি ও লেয়ার ফার্ম পরিচালনাকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে তারা নিজেরাও স্বপ্রণোদিত হয়ে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করেন। ইউএনও বলেন,“ মাত্র ৩০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ টাকা ব্যয়ে ৩,০০০ মুরগির জন্য একটি কার্যকর বায়োগ্যাস প্লান্ট নির্মাণ সম্ভব। এটি একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষা করবে, অন্যদিকে জ্বালানি খরচও সাশ্রয় হবে। অথচ কেউ ব্যবস্থা না নিলে, প্রয়োজনে আইনের আওতায় আনা হবে।”
উপজেলা প্রশাসনের এই কঠোর ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষণ রোধ হবে, অন্যদিকে স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা ও দায়িত্ববোধও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট মহল।



















