close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ভালুকায় অবৈধ কারখানায় বিএসটিআই অনুমোদনহীন পণ্য উৎপাদন: স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে জনগণ  ..

Shazzadul Alam Khan  avatar   
Shazzadul Alam Khan
উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গড়ে উঠা এসব কারখানায় শ্রমিকরা খোলা আকাশের নিচে, ময়লা-আবর্জনার মধ্যে পণ্য উৎপাদন করছেন।..

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিএসটিআই বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন লাইসেন্স ও স্বাস্থ্য পরিপত্র ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিস্কুট, আটা, ময়দা, সুজি, ডিটারজেন্ট পাউডার, সয়াবিন ও সরিষার তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এসব অবৈধ কারখানার পণ্য সরাসরি বাজারে বিক্রি হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নীরবতাও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।  

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গড়ে উঠা এসব কারখানায় শ্রমিকরা খোলা আকাশের নিচে, ময়লা-আবর্জনার মধ্যে পণ্য উৎপাদন করছেন। প্যাকেটজাত করার সময় ব্যবহার করা হয় নিম্নমানের প্লাস্টিক ও ভেজাল কাঁচামাল। একাধিক কারখানার কর্মী জানান, রাতের অন্ধকারে ট্রাক বা ভ্যানযোগে এসব পণ্য ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাজারে পাঠানো হয়।  

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, "কারখানাগুলো থেকে নির্গত দুর্গন্ধ ও বর্জ্যে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। শিশুরা এখান থেকে জিনিসপত্র কিনে খেলে পেটের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা বারবার অভিযোগ করেও কোনো ফল পাইনি।"  

অবৈধ এই উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিএসটিই পরিদর্শকদের ভূমিকা নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, বিএসটিআই ময়মনসিংহ আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানানো হয়েছে, "ভালুকায় অসংগঠিত খাতের তালিকা হালনাগাদ নেই। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"  

খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বলেন, "বিএসটিআই অনুমোদনবিহীন পণ্য খাদ্যে রাসায়নিক দূষণ, কিডনি ও লিভার ক্ষতির মতো জটিল রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এসব কারখানা বন্ধে প্রশাসনিক তৎপরতা জরুরি।" 

No comments found


News Card Generator