ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:ভালুকা পৌরসভায় জন্মনিবন্ধনের নামে টাকা নেওয়ার পর সেবা না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এক ভুক্তভোগী। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় দাবি করেন, জন্মনিবন্ধনের জন্য পৌরসভার সংশ্লিষ্ট একজনের মাধ্যমে আবেদন করেন এবং তাঁকে ৬০০ টাকা পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু একাধিকবার যোগাযোগ করার পরও এখন পর্যন্ত জন্মনিবন্ধন সনদ পাননি তিনি।
ভুক্তভোগীর ভাষ্য, “ভালুকা পৌরসভায় জন্মনিবন্ধন করার জন্য আবেদন করি। আমার কাছ থেকে ৬০০ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু এতদিনেও কোনো জন্মসনদ পাইনি। এখন যোগাযোগ করলেও সঠিক কোনো উত্তর দেওয়া হয় না। বিষয়টি নিয়ে আমি হতাশ।”
এই অভিযোগ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। নাগরিক সেবায় এমন দুর্ব্যবহার ও অনিয়মে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিষয়টি নজরে আসে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ-এর। তিনি সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাড়া দিয়ে মন্তব্য করেন, “পৌরসভা সংশ্লিষ্ট কেউ হয়ে থাকলে পৌর প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করুন। আমি বলে দিচ্ছি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।”
ইউএনও’র এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। অনেকে তাঁর দ্রুত সাড়া দেওয়ার মনোভাবের প্রশংসা করেন।
সাধারণ নাগরিকরা মনে করছেন, এই ঘটনাটি বিচ্ছিন্ন না-ও হতে পারে। পৌরসভার সেবা গ্রহণে দীর্ঘদিন ধরেই নানা অভিযোগ রয়েছে। জন্মনিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স, নাগরিক সনদ-সবক্ষেত্রেই সময়মতো সেবা না পাওয়া, অতিরিক্ত অর্থ দাবি করা কিংবা হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
তাঁদের মতে, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রশাসনের আরও সক্রিয় নজরদারি প্রয়োজন।



















