বগুড়ার শিবগঞ্জে মহাসড়কে চাঁদা না দেয়ায় গাছ ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা খাজা মিয়া ও তার সহযোগী ভাতিজা ফিরোজ আহমেদ এর বিরুদ্ধে। গত বুধবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার পাকুড়তলা বন্দরে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের ওভারপাস ব্রিজের নীচে এঘটনা ঘটে। এব্যাপারে ওইদিন রাতে খাজা ও ফিরোজ সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওবায়দুর। অভিযুক্ত খাজা মিয়া পাকুড়তলা বন্দর স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা ও ফল ব্যবসায়ী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওবায়দুর রহমান শিবগঞ্জ উপজেলার গাংনগর এলাকা থেকে দুটি অটোভ্যানযোগে লিচু গাছের চারা কাহালুতে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দেন। ভ্যান দুটি পাকুড়তলা বন্দরে পৌছালে বন্দর স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা খাজা মিয়া তা গতিরোধ করে ৪০০ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় চাঁদা দিতে রাজি না হলে ওবায়দুরকে মারধর করার জন্য খাজা মিয়া তার সহযোগীদের হুকুম দেন। হুকুম পাওয়া মাত্র তারা ওবায়দুরকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে আহত করে এবং তার শার্টের পকেটে থাকা ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় ওবায়দুরের সহপাঠী আরিফ হোসেন আগাইতে গেলে খাজা মিয়া তাকেও মারধর করে আহত করে এবং ফিরোজ আহত আরিফের কাছে থাকা ৫ হাজার টাকা অসদুদ্দেশ্যে ছিনিয়ে নেয়। পরে আহত ওবায়দুর ও আরিফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নেন।
অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা খাজা মিয়া মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে রহবল হাট ইজারা নেয়া হয়েছে। আর পাকুড়তলা বন্দর ওই হাটের মধ্যেই পড়েছে। আমি ওবায়দুরকে মাত্র ৩০-৪০ টাকা খাজনার কথা বলি। তখন সে আমার সাথে অসদাচরণ করে এবং মারার জন্য তেড়ে আসে। পরে আমি তাকে একটা থাপ্পড় মারি। এছাড়া আর কিছুই করিনি।
অভিযুক্ত ফিরোজ বলেন, আমি কাউকেই মারধর করিনি। ওখানে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি দেখে মীমাংসার জন্য এগিয়ে গিয়ে তাদেরকে শান্ত হতে বলি।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুজ্জামান জানান, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা পেলে তারা যেই দলেরই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিবগঞ্জকে চাঁদাবাজ মুক্ত রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সোচ্চার।