বগুড়া ধুনটে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা..

Md Barhan Uddin avatar   
Md Barhan Uddin
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা এবং পরে জোরপূর্বক বিয়ে পড়ানোর অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে থান..

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের বিশ্বহরিগাছা গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে অপূর্ব (২০) বিশ্বহরিগাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শিক্ষার্থী (১৩) বিদ্যালয়ে আসাযাওয়ার পথে প্রায়ই তাকে কুপ্রস্তাব দিত এবং বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে অপূর্ব স্কুলছাত্রীকে তুলে নেওয়ার হুমকি দিত। বিষয়টি স্কুলছাত্রী তার বাবাকে জানালে তিনি অপূর্বকে সতর্ক করেও কোনো ফল পাননি।

এ অবস্থায় ১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে বিশ্বহরিগাছা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ফাঁকা রাস্তায় ওঁত পেতে থাকা অপূর্ব ও তার সহযোগীরা স্কুলছাত্রীর পথরোধ করে। পরে একটি অজ্ঞাত সিএনজিতে জোরপূর্বক তুলে স্থানীয় উদগাড়ী বিলের নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে চাষাবাদি জমির ভেতর ভয়ভীতি দেখিয়ে অপূর্ব স্কুলছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে স্কুলছাত্রী জ্ঞান হারালে তাকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা।

এ অবস্থায় স্থানীয় এক যুবক রাস্তার পাশে অচেতন অবস্থায় স্কুলছাত্রীকে দেখতে পেয়ে পরিবারের কাছে খবর দেন। এরপর স্কুলছাত্রীকে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে গুরুতর অবস্থায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখানেই স্কুলছাত্রী চিকিৎসাধীন আছে।

ঘটনার পরদিন প্রভাবশালী অপূর্বের পরিবারের লোকজন ভুক্তোভোগির পরিবারটির কাছে সমঝোতার প্রস্তাব দেন। তারা অপূর্বের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে মামলা না করতে চাপ দেন। এজাহারে বলা হয়, ২ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় অপূর্বের বাড়িতে স্কুলছাত্রীকে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে পড়ানো হয়। পরবর্তী ৪ ডিসেম্বর, বিয়ের দুই দিনের মাথায় অপূর্ব স্কুলছাত্রীকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেন। এতে মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হলে স্কুলছাত্রীকে আবারো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় অপূর্ব সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার এসআই মোস্তাফিজ আলম বলেন, এ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

No comments found


News Card Generator