নিউজ ডেক্সঃ
নিজের পৈতৃক সম্পত্তির পুকুরে মাছ চাষ করেও ধরতে পারছেন না বরগুনার বেতাগীর এক যুবক।
৫নং বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের বদনীখালি এলাকার শাহ আলমের ছেলে বেলাল নিজ উদ্যগে লেখাপড়ার পাশাপাশি ঘরের পাশের পুকুরে মাছ চাষ করে। তবে সেই মাছ ধরে নিতে গেলেই বাজে বিপত্তি।
একই স্থানের নজরুল, ছালাম, কাওসার,নয়ন,কালাম, রাসেল,সুজন জুয়েলরা মিলে মাছ ধরতে বাঁধা ও সবার অগোচরে মাছ ধরে নিয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে দুই পক্ষের মধ্যে। এই বিরোধে ২৩ সালে বেলালের মা মমতাজকে বেধরক মারধর করে তারা। তখন আইনের আশ্রয় নিলেও স্থানীয় আঃলীগ নেতাদের প্রভাবে বিচার থেকে বঞ্চিত হয় বেলালরা।
সম্পৃতি জমি দাবি করে বরগুনা আদালতে মামলা করেন নজরুল গংরা। মামলার রায়ের পূর্বেই জমি ও পুকুর দখল করে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখে। জমি ও পুকুরে মাছ ধরতে গেলেই প্রাণনাশের হুমকি ও নানা সময়ে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে নজরুল গংরা।
ভুক্তভোগী বেলাল বলেন, এই জমি ও পুকুর আমাদের এটা কাগজ ও এলাকাবাসী সবাই জানে। তারা হুট করে জমি দাবী করেছে। তারা জমি পেলে অবশ্যই আমরা দিব কিন্তু মামলার রায়ের আগেই দখল নিয়েছে। পুকুরে মাছ ধরতে বাঁধা দেয়। আমি ধরতে গেলে হুমকি দেয়। মামলার হুমকি দেয়। জমি ওরা পেলে নিয়ে যাক আপত্তি নেই। কিন্তু আমার কষ্টের চাষ করা মাছ কেন ধরতে পারব না।
স্থানীয় অনেক প্রতিবেশীরা বলেন, এই ঝামেলা দীর্ঘদিন ধরে। একবার বেলালের মায়রে মারছে। তারও বিচার হয়নায়। বর্তমানে পোলাডায় ঘর থেকে নামতেও পারেনা। মারবে, মামলা দিবে। আরও কতকি।
তবে এবিষয়ে নজরুলের কাছে জানতে চাইলে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বলেন, এই জমিতে মামলা আছে। কেউ জমিতে কাজ করতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞা জারি করা আছে।
নিষেধাজ্ঞার কাগজ দেখতে চাইলে বলেন, সামনের সপ্তাহে আসবে।
তার ছেলে নয়ন সাংবাদিকদের দেখেই ক্ষেপে উঠে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন বেলাল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বশির গাজী জানান, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তাদেরকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।