যশোর জেলার বেনাপোল খড়িডাঙ্গা গ্রামে মশিয়ারের কাছে পাওনা টাকা চাওয়ায় সুমন (৩০) নামের এব যুবক:কে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। জানাগেছে ৯ মে শুক্রবার সকালে একই এলাকার মশিয়ারের বাড়িতে জমি বন্ধকের টাকা ফেরত চাইতে গেলে তার টাকা দেবে না বলে নানা হুমকি ধামকি দেয়। এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মশিয়ারের বাড়ি থেকে সুমন চলে আসে। পরে সন্ধ্যার সময় চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন সুমন সে সময় মশিয়ার দলবল নিয়ে এসে সুমনকে লাঠি সোটা ও ইট দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ১০ থেকে ১২ জন এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করে।
মারপিটের এক পর্যায়ে সুমনের অবস্থা খারাপ দেখে মশিয়ার দলবল নিয়ে সটকে পড়ে।
পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা পরে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ মে শনিবার সকালে তার (সুমনের) মৃত্যু হয়। নিহত সুমন হোসেন (৩০) খড়িডাঙ্গা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান , নুর ইসলামের ছেলে সুমন প্রতিবেশী মশিয়ারের কাছে ৬০ হাজার টাকার জমি বন্ধক নেন, বন্ধকের টাকা ফেরত চান। এনিয়ে প্রায়ই দুই পরিবারের মাঝে ঝগড়া লেগে থাকত । গতকাল সকালে সুমন ও মশিয়ারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়৷ পরে সুমন বাসায় চলে আসে ৷ সন্ধ্যার সময় স্থানীয় বাজারের চায়ের দোকানে সুমন পৌছালে। মশিয়ারসহ আরো ১২-১৩ জন এসে এলোপাতাড়ী মারধর করে ফেলে রেখে যাই।
এ ঘটনার পর পরই মশিয়ার ও তার পরিবারের লোকজন নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সুমনের ভাই নুর হোসেন বলেন, আমার ভাইকে যারা মেরেছে এরা সবাই আওয়ামী লীগের লোক। এরা ১৭ বছর আমাদের কে অনেক নির্যাতন করেছে আর এখনো করছেন। তাই প্রশাসনের কাছে আমার জোর দাবি এদেরকে আটক করে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা হোক ।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি, লাশ ময়নাতদন্ত এর জন্য যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।