close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বাউফলের একমাত্র রাস্তা বন্ধ করে দিলেন প্রভাবশালী ব্যক্তি — রাস্তাটি খুলে দেওয়ার দাবিতে ৫ শতাধিক এলাকাবাসীর মানব ব ন্ধ ন..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়নের ঘুরচাকাঠী গ্রামে ৫ শতাধিক মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। রাস্তাটি দ্রুত উন্মুক্ত করার দাবিতে ক্ষুব্ধ গ..

আজ সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ঘুরচাকাঠী গ্রামে রাস্তাটির উপর দাঁড়িয়ে দীর্ঘ মানববন্ধন করেন এলাকার শত শত মানুষ। “রাস্তায় তালা মানি না”, “রাস্তায় প্রভাবশালীর আধিপত্য চলবে না”—এইসব স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।

মানববন্ধনে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। তারা বলেন, একমাত্র এই রাস্তাটিই ধুলিয়া ইউনিয়নের ঘুরচাকাঠী এলাকার মানুষজনের উপজেলা সদর কিংবা বাজারে যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হতো। রাস্তা বন্ধ থাকায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা সময়মতো পৌঁছাতে পারছে না, রোগী পরিবহন করাও দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

মানববন্ধনে বক্তারা যা বললেন: ‘রাস্তাটি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়’

এই কর্মসূচির আয়োজক ছিলেন ঘুরচাকাঠী গ্রামের সচেতন বাসিন্দারা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রভাষক নাঈম সিকদার তারেক, কাওসার হোসেন এবং মো. হুজাইফা ইসলাম। তারা অভিযোগ করেন, একটি গোটা জনপদের মানুষের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া কোনোভাবেই ন্যায়সংগত নয়।

প্রভাষক নাঈম সিকদার তারেক বলেন, “এটা কেবল একটা রাস্তা নয়, এটি আমাদের বেঁচে থাকার মাধ্যম। একজন ব্যক্তি নিরাপত্তার অজুহাতে পুরো এলাকাবাসীর অধিকার কেড়ে নিতে পারেন না।”

কাওসার হোসেন বলেন, “এলাকার মানুষ এখন যেন বন্দি। চিকিৎসা, পড়াশোনা, ব্যবসা—সবকিছু থমকে গেছে।”

মো. হুজাইফা ইসলাম বলেন, “আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। দ্রুত এই রাস্তা খুলে দেওয়া হোক, নইলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচির দিকে যাব।”

প্রশাসনের নীরবতা: এখনো কোনো প্রতিকার নেই

এলাকাবাসী দাবি করছেন, তারা একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন, কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বরং প্রভাবশালী পরিবারটির প্রভাবের কারণে সবাই বিষয়টি এড়িয়ে চলছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

রাস্তাটি আসলে কার মালিকানায়?

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিতর্কিত রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এটি কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা নয় বলে দাবি করেছেন গ্রামবাসী। তবে পান্নু পরিবার বলছে, রাস্তাটি তাদের জমির উপর দিয়ে গেছে এবং সেজন্য তারা এটি বন্ধ করে দিয়েছে।

মানবিক দিক বিবেচনায় রাস্তাটি খুলে দেওয়ার দাবি সর্বত্র

অধিকাংশ এলাকাবাসীই বলছেন, আইনি জটিলতা থাকলেও মানবিক দিক বিবেচনা করে অন্তত বিকল্প ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত রাস্তা উন্মুক্ত রাখা উচিত ছিল। এখন এই অবস্থায় তাদের চলাচল চরমভাবে বাধাগ্রস্ত।


এলাকাবাসীর স্পষ্ট বার্তা—এই রাস্তাটি খুলে না দেওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আশ্বাস না আসায় মানুষের মাঝে ক্ষোভ বাড়ছে। বিষয়টি দ্রুত সমাধান না হলে বড় ধরনের জনআন্দোলন শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় বিশ্লেষকরা।

Geen reacties gevonden


News Card Generator