ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার আকছিনা গ্রামের মা হারা ছেলে মো: ইয়াছিন (২৫) , বাবা থাকলেও বৃদ্ধ বাবার বয়স হয়েছে, আগের মতো শরীরে তেমন শক্তি নেই যে, উপার্জন করে ছেলের চিকিৎসা করাবেন। মাত্র ২৫ বছরের যুবক ইয়াছিন, যে বয়সে বিয়ে করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে নিজের ভবিষ্যত সাজানোর কথা সে বয়সে এসে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন বেঁচে থাকায় যেন তাঁর কাছে স্বপ্নের মতো।
বর্তমানে ইয়াছিনের দুটি কিডনিই বিকল, বেঁচে থাকার তাগিদে প্রতি সপ্তাহে দুইবার নিতে হয় কিডনি ডায়ালাইসিস,যা অনেক ব্যয়বহুল। অভাবের সংসারে এ খরচ চালানো কোনভাবেই সম্ভব নয় বৃদ্ধ বাবা ফিরোজ মিয়ার। অভাব-অনটনের মাঝেও এখন পর্যন্ত যতটুকু পেরেছেন, ধারদেনা করে ছেলের চিকিৎসা চালিয়ে গেছেন বাবা। কিন্তু এখন সব পথ বন্ধ হয়ে এসেছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, ইয়াছিনের সুস্থভাবে বাঁচতে হলে নিয়মিত ডায়ালাইসিস চালিয়ে যেতে হবে অথবা কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে, যা আরও ব্যয়বহুল ও জটিল একটি প্রক্রিয়া।
অসুস্থ্য ইয়াছিন জানায়,গত ৩ বছর আগে স্ট্রোকজনিত কারণে তার বা পা কেটে ফেলতে হয়েছে। পায়ের তীব্র ব্যাথার নিরোধের অধিকতর মাত্রার ব্যাথার ঔষধ সেবনের ফলে কখন যেন দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গিয়েছে তার। এমনিতেই অভাবের সংসার তার উপর একটি পা নেই, এর মধ্যে চিকিৎসক জানালেন দুটি কিডনিই বিকল। এমতবস্থায় প্রতি সপ্তাহে দুবার ডায়ালাইসিস করাচ্ছি যা অত্যান্ত ব্যয়বহুল। যা আমার পরিবারের পক্ষে জোগান দেওয়া প্রায় অসম্ভব। আমি বাঁচতে চাই।
ইয়াছিনের প্রতিবেশি অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী বলেন,সে একজন ভালো ছেলে ছিল, তার জীবনে এমন অন্ধকার নেমে আসবে আমরা ভাবিনি। পাড়া থেকে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা সাহায্য করেছি,তবে বর্তমানে ইয়াছিনকে বাঁচাতে হলে তার উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি একটি কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। তাই দেশবাসীর নিকট আবেদন করছি, আপনারা সকলে এগিয়ে আসুন।
অপর প্রতিবেশি আক্তার মিয়া বলেন,ইয়াছিন আমাদের গ্রামের একজন ভালো ছেলে ছিল, সে এতিম,তাঁর মা নেই। বর্তমানে তার চিকিৎসা অনেক ব্যায়বহুল।দয়া করে সমগ্র দেশবাসী তার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.ছামিউল ইসলাম বলেন, সমাজসেবা অফিসে আবেদন করেলে ইয়াছিন আর্থিক সহায়তা পাবে। তার পাশে উপজেলা প্রশাসন সার্বিকভাবে থাকবে ও সাহায্য করবে।
সবমিলিয়ে সঠিক চিকিৎসা পেলে হয়ত নতুনভাবে বাঁচতে শিখবে ইয়াছিন, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের