বড়াইগ্রামে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁ ধে না রীকে নির্যা তনের মাম'লা শিবির নেতা ও ভাইয়ের বিরু'দ্ধে....

Belhaj Badhon avatar   
Belhaj Badhon
নাটোরের বড়াইগ্রামে বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে নারীকে নির্যাতন করে তালাক নামায় সাক্ষর নেওয়া অভিযোগে শিবিরের সভাপতি ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। বুধবার দুপুরে ওই নার..

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন উপজেলার চড়ইকুল গ্রামের কাজিম উদ্দিনের ছেলে হাসানুর রহমান হাসান (৩২)ও বড়াইগ্রাম সদর ইউনিয়ন ছাত্র শিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ হারুন খান (২১)।

মামলা সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় পোশাক কারখানায় চাকুরীর সুবাদে পরিচয় হয় উপজেলার চড়ইকুল গ্রামের হাসানুর রহমান হাসান নামের এক যুবকের সাথে। এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে গত ফ্রেবুয়ারী মাসের ৪ তারিখে ইসলামী শরিয়াত মোতাবেক দুই লক্ষ টাকা মোহরানায় বিয়ের হয় তাদের মধ্যে। একটি বাসা ভারায় সংসার করতে থাকার কিছুদিন পর সেখান থেকে বাড়িতে চলে আসে হাসানুর রহমান হাসান। গত ঈদের পরের দিন (৬ই জুন) স্ত্রী দাবী নিয়ে হাসানুর রহমান হাসানের বাড়িতে আসে ওই নারী। তখন হাসানুর রহমান হাসান ও তার ছোট ভাই হারুন খান মারপিট ও শ্লীলতাহানী করে। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামায়েত ইসলামীর কয়েজন নেতা এসে ওই নারীকে হাসানুর রহমানের বাড়িতে রেখে আসে। পরে শনিবার বিকেলে (১৪ই জুন) বাড়ির সামনে বৈদ্যুতিক পুলে সহিত রশি দিয়ে বেঁধে রেখে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে তালাক নামায় সাক্ষর নেয়। পরে জোড় করে বাস যোগে গাজীপুর পাঠিয়ে দেয়। গাজীপুরে আহসান উল্লাহ মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বড়াইগ্রাম থানায় এসে মামলা করেন।

হাসানুর রহমান হাসান বলেন, ওই নারীর চরিত্রে সমস্যা। আমাকে জোড় করে বিয়ে করেছিল। এখন আবার নতুন করে আমাকে ফাসানোর চেষ্টা করছে।

বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী ওই নারী মামলা করেছেন। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Keine Kommentare gefunden


News Card Generator