close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

বাঘাইছড়িতে বিজিবির ৫০ মে. টন খাদ্যশস্য বিতরণ

Md Jakir Hossain avatar   
Md Jakir Hossain
পার্বত্য রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় বসবাসরত পাহাড়ি ও বাঙালি জাতিগোষ্ঠীর  ২,৫০০ টি পরিবারের মাঝে ৫০ মে. টন খাদ্যশস্য বিতরণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।..

মঙ্গলবার (১৩ মে,২০২৫) সকাল ১১ টায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র, কৃষি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাঘাইহাট ব্যাটালিয়ন (৫৪ বিজিবি) এবং মারিশ্যা ব্যাটালিয়ন (২৭ বিজিবি) এর যৌথ আয়োজনে এই মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়। বাঘাইছড়ি  উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট ১১টি স্থানে দুই দিনব্যাপী, (মঙ্গলবার ও বুধবার) এই খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

প্রথম দিনে বাঘাইহাট ব্যাটালিয়নের তত্ত্বাবধানে ব্যাটালিয়ন সদর ও মাচালং বাজার এবং মারিশ্যা ব্যাটালিয়নের তত্ত্বাবধানে মারিশ্যা, রূপকারী, খেদারমারা, আমতলী ও সরোয়ারতলী ইউনিয়ন পরিষদ সহ মোট ০৭ টি স্থানে খাদ্যশস্য বিতরণ করা হয়।

সকাল ১১টায় বাঘাইহাট ব্যাটালিয়ন সদরে আয়োজিত খাদ্যশস্য  বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রিজিয়ন সদর দপ্তরের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোঃ শাহরিয়ার ইকবাল। অন্যদিকে, মাচালং বাজার এলাকায় খাদ্যশস্য বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন বিজিবি খাগড়াছড়ি সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ আব্দুল মোত্তাকিম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাঘাইহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোঃ মহিউদ্দিন ফারুকী এবং মারিশ্যা ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর নোমান আল ফারুক।

উপকার ভোগী যিশু চাকমা বলেন" বিজিবির এই খাদ্যশস্য সহায়তা পেয়ে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। আমরা সাজেকে  ঝড়-বৃষ্টিতে, রোদে পুড়ে অনেক মেহনতী গরীব মানুষ  রয়েছি। স্যারদের দৃষ্টি আমাদের উপর পরেছে তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা আশা করি ভবিষ্যতেও এইরকম সহায়তা আরও পাবো।আরেক উপকার ভোগী মিতালি চাকমা বলেন "আমরা দিন আনি দিন খাই। স্যারেরা আমাদের এই খাদ্য সহায়তা দিয়েছে, তা দিয়ে পরিবার নিয়ে কিছুদিন ভালভাবে চলতে পারবো। এই খাদ্যশস্য সহায়তার জন্য স্যারদের অনেক ধন্যবাদ জানাই।"


খাদ্যশস্য বিতরণ শেষে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোঃ শাহরিয়ার ইকবাল বলেন, “আপনারা অবগত আছেন যে গত (২৪ ফেব্রুয়ারি,২০২৫) সাজেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা স্যার এখানে এসেছিলেন এবং অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাড়িয়ে ছিলেন। এখান থেকে ফিরে গিয়ে ভাবেন এ অঞ্চলের মানুষের জন্য কিছু করার। তারই ফল স্বরুপ আজ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বিজিবির এ খাদ্যশস্য বিতরণ  করা হয়। দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বিজিবি নিয়মিতভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এছাড়াও এই ধরণের কার্যক্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মাঝে আমরা শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা পৌছে দিতে পারছি। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নের জন্য বিজিবির এরকম মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”

Walang nakitang komento