ঢাকার আশুলিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ ও শ্রমজীবী অধ্যুষিত এলাকা জামগড়া, যেখানে লক্ষাধিক মানুষ প্রতিনিয়ত জীবন-জীবিকার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত গার্মেন্টস শ্রমিকরা এই এলাকায় বসবাস করেন একা, পরিবার-পরিজন ছাড়া।
তাদের আপনজনেরা রয়েছেন দূরে—কেউ ১০০, কেউবা ২০০ কিলোমিটার দূরে। ফলে বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানোর মতো কাউকে পাওয়া যায় না। এ সুযোগে বাড়ছে চুরি, ছিনতাই, মারধর ও গুলিবর্ষণের মতো অপরাধ। কেউ রাস্তায় নির্যাতনের শিকার হলেও অধিকাংশ মানুষ ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পান না। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, জামগড়ায় আজ বসবাস মানে প্রতিনিয়ত আতঙ্কে দিন কাটানো।
এলাকাবাসী ও গার্মেন্টস শ্রমিকদের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে—জামগড়া এলাকায় একটি স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করতে হবে। কারণ হিসেবে তারা জানান, এই এলাকায় রয়েছে: শতাধিক গার্মেন্টস ও শিল্প-কারখানা। বিভিন্ন ব্যাংক ও এটিএম বুথ বিভিন্ন শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ পার্ক ‘ফ্যান্টাসি কিংডম’
এসব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নাগরিক জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে, পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন এখন সময়ের দাবি।
সচেতন মহল বলছেন, প্রশাসন যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে এই জনবহুল এলাকায় অপরাধের মাত্রা আরো বাড়বে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা চরমে পৌঁছাবে।
তাই সকল ধর্ম, শ্রেণি ও পেশার মানুষের পক্ষ থেকে দাবি—জামগড়ায় অবিলম্বে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করুন।