close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

আরব সাগরে ভারতের অভি যান, টার্গেটে পাকিস্তান

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার ব্যর্থ চেষ্টার পর পাল্টা প্রতিশোধে মরিয়া ভারত। শুক্রবার ভোরে আরব সাগরে চালানো হয়েছে 'টার্গেটেড স্ট্রাইক'—যা মূলত পাকিস্তানি সামরি..

দীর্ঘদিনের সীমান্ত উত্তেজনা এবার ছড়িয়ে পড়ল আরব সাগরে। পাকিস্তানের ধারাবাহিক উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের পর এবার পাল্টা জবাবে সামুদ্রিক অপারেশন চালিয়েছে ভারত। প্রতিরক্ষা সূত্র জানায়, শুক্রবার ভোররাতে 'টার্গেটেড সামুদ্রিক হামলা' শুরু করে ভারতীয় নৌবাহিনী, যার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানি সামরিক সরঞ্জাম ও রাডার ইনস্টলেশন।

সূত্র বলছে, অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন বজ্রাঘাত’। এ অপারেশন মূলত প্রতিশোধ এবং প্রতিরক্ষার কৌশলের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়েছে। ভারতের শীর্ষ নিরাপত্তা মহলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যখন একদিন আগেই পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে এবং ড্রোন ব্যবহার করে ভারতের সামরিক ঘাঁটি টার্গেট করার চেষ্টা করে।

ভারতের ভেতরে নিরাপত্তা সতর্কতা

পাকিস্তানের এই আকস্মিক পদক্ষেপে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জম্মু ও কাশ্মীর, আরএস পুরা, আরনিয়া, সাম্বা এবং হিরানগর অঞ্চল। ভারতের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সফলভাবে অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও পাঠানকোটে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে এবং রাজস্থানের জয়সলমেরে পাকিস্তানি একটি ড্রোন আটকানো হয়।

এই ঘটনার পর নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতের চণ্ডীগড়, মোহালি এবং শ্রীনগরসহ বেশ কয়েকটি শহরে ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হয়—যা ২০১৯ সালের পর সর্ববৃহৎ।

সীমিত কিন্তু নির্ভুল' প্রতিক্রিয়া—ভারতের দাবি

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলোর লক্ষ্য ছিল জম্মু, পাঠানকোট ও উধমপুরের সামরিক ঘাঁটিগুলো। কিন্তু ভারতের প্রযুক্তিনির্ভর এবং সমন্বিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সময়মতো কাজ করায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিকদের জানান,

“পাকিস্তান আগে হামলা করেছে, ভারত শুধু আত্মরক্ষার্থে পাল্টা জবাব দিয়েছে। আমাদের অভিযান ছিল অত্যন্ত সীমিত, নির্ভুল এবং সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে—না যে কোনো বেসামরিক এলাকাকে।”

পেছনের প্রেক্ষাপট—পেহেলগামের রক্তাক্ত হামলা

সাম্প্রতিক এই উত্তেজনার শুরু পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা থেকে। গত মাসে সেখানে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত হন ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক। ভারতের গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা যায়, এই হামলার মূল হোতা ছিল পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবাজইশ-ই-মোহাম্মদ।

পেহেলগামের ঘটনার পরপরই ভারত 'অপারেশন সিন্দুর' চালিয়ে পাকিস্তানের মুরিদকে ও বাহাওয়ালপুরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত হয়।

লাহোরে ধ্বংস পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট

এর পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান অন্তত ১৫টি স্থানে হামলার চেষ্টা করে, তবে সফল হয়নি। বরং বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের এক সফল পাল্টা জবাবে লাহোরে একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। এই হামলাটি ছিল নিখুঁত, এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে পাকিস্তান এখনো মুখ খুলেনি।

এবার আরব সাগর—পরিস্থিতি আরও জটিল

শুক্রবার ভোররাতে ভারতের ‘অপারেশন বজ্রাঘাত’ পরিচালিত হয় আরব সাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমা ঘেঁষা এলাকাগুলোতে। যদিও ভারতের পক্ষ থেকে সরাসরি এই অভিযানের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি, কিন্তু প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন—এই পদক্ষেপ দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন এনে দিতে পারে।


শেষ কথা:

বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে উত্তেজনার ঘন মেঘ। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু না হলেও পাল্টা হামলার প্রবণতা পরিস্থিতিকে দিনদিন উদ্বেগজনক করে তুলছে। তবে ভারতের হুঁশিয়ারি স্পষ্ট—“আর এক ধাপ অগ্রসর হলে, ফল ভয়াবহ হবে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली