আপনারা বাস্তবতা মেনে নিন, খুনি হাসিনা আর ফিরবেন না”—ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাতের স্পষ্ট বার্তা
ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে সোমবার (৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত ছাত্র সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার বক্তব্যে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। সমাবেশটি আয়োজন করা হয় ‘ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিলোপ, নতুন রাজনৈতিক কাঠামো বিনির্মাণ, এবং “প্রোক্লেমেশন অব জুলাই” রেভল্যুশনের জনআকাঙ্ক্ষা অন্তর্ভুক্তির’ লক্ষ্যে।
হাসনাত বলেন, “দেড় দশক ধরে হাসিনা দেশের রাজনৈতিক কাঠামোকে ভেঙে দিয়েছেন। দেশকে নেতৃত্বশূন্য করে ফেলে দিয়েছেন। খুনি হাসিনা আর বাংলার মাটিতে ফিরতে পারবেন না। আপনারা বাস্তবতা মেনে নিন।”
তরুণ প্রজন্মের ভূমিকার গুরুত্ব
বিভাজনের রাজনীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে এমন একটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বড় হয়েছি যেখানে জাতীয় ঐক্যের অভাব স্পষ্ট। প্রবীণ রাজনীতিবিদদের প্রতি আমাদের সম্মান রয়েছে, তবে তরুণ প্রজন্মের আত্মবিশ্বাস এবং ফ্যাসিবাদ উৎখাতের প্রত্যয়কে আপনাদের প্রজ্ঞার সাথে মিলিয়ে কাজ করতে হবে। অন্যথায় ২০২৪-পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণ ব্যর্থ হবে।”
দিল্লি নির্ভরতার অবসান দাবি
হাসনাত আরও বলেন, “অতীতে ঢাকার মসনদ কার হবে, তা দিল্লি থেকে নির্ধারণ করা হতো। কিন্তু এই প্রবণতা আর চলতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কারা শাসন করবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে দিল্লিমুখী না হয়ে দেশের জনগণের মুখোমুখি হতে হবে।”
সমাবেশে অন্যদের বক্তব্য
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলামসহ আরও অনেকে। বক্তারা ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক কাঠামোর বিলোপ এবং গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য আহ্বান জানান।
সমাবেশে তরুণ প্রজন্মের ঐক্যের বার্তা তুলে ধরা হয় এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সফলতা নিশ্চিত করতে জাতীয় পর্যায়ে ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়।
পাঠকের আগ্রহের জন্য উল্লেখযোগ্য বিষয়
নিউজটি এমন একটি প্রেক্ষাপট তুলে ধরেছে যা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং তরুণ প্রজন্মের ভূমিকা নিয়ে জনসাধারণকে নতুনভাবে ভাবতে উৎসাহিত করবে।
לא נמצאו הערות



















