বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “দেশে আবারও চাঁদাবাজিসহ পুরোনো দুঃশাসনের সংস্কৃতি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আমরা সেই পুরনো রাজনীতির ধারায় ফিরে যেতে চাই না। এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যৌথভাবে এসবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচনের সুযোগ নেই। বর্তমান ব্যবস্থায় যে অবিচার ও দুর্নীতি চলছে, তা বন্ধ করতে হলে নির্বাচন পূর্বে বিচার ও রাজনৈতিক সংস্কার জরুরি।”
মানবিক করিডোর নিয়ে জাতীয় সংলাপের আহ্বান
সম্প্রতি আলোচনায় আসা 'মানবিক করিডোর' বিষয়টি নিয়েও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নাহিদ ইসলাম বলেন, “এই সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন ছিল। দুর্ভাগ্যবশত, অনেক রাজনৈতিক দলের এ বিষয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণাই নেই। তাই আমরা মনে করি, মানবিক করিডোর নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটি খোলামেলা সংলাপ হওয়া প্রয়োজন।”
নতুন রাজনৈতিক সংস্কার বাধাগ্রস্ত হলে জনগণ তা মেনে নেবে না
নাহিদ ইসলাম হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “দেশে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ালে, দেশের জনগণ তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না।”
ইসলামী আন্দোলনের আমিরের সুরে সুর মিলিয়ে বক্তব্য
সংলাপে অংশ নেয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, “এই মুহূর্তে দেশে নির্বাচন নয়, প্রয়োজন রাজনৈতিক সংস্কার ও অপরাধীদের বিচার। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে তা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না।”
এই সংলাপ ও বক্তব্যগুলো থেকে স্পষ্ট যে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এখন একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক রূপান্তরের পথে হাঁটতে চায়। তারা চায় পুরনো দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক ধারার অবসান এবং একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা।



















