শেষ ২০ রানের মধ্যে ৪টি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছেন এই স্পিনার। ১২১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে দিনশেষে হয়ে উঠেছেন দলের সেরা পারফর্মার। দেশের বাইরে এটাই তার প্রথম পাঁচ উইকেট প্রাপ্তি, যদিও ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয়।
লঙ্কান ডেরায় দুর্দান্ত সাফল্যের পেছনে নিজের কৌশলের কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নাইম বলেন,
“ভালো জায়গায় বল করার চেষ্টা করেছি। পেসে ভ্যারিয়েশন এনেছি, সিমের পজিশন পাল্টে দেখেছি কীভাবে কার্যকর হচ্ছে। প্রতিটি ব্যাটারের জন্য আলাদা লাইন ব্যবহার করেছি।”
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখনও স্থায়ী হতে পারেননি নাইম। ১২ টেস্টে ৩৯ উইকেট নেওয়ার পরও জায়গা ধরে রাখা হয়নি সবসময়। দলের বাইরে থাকা, অন্য ফরম্যাটে সুযোগ না পাওয়া—এ নিয়ে কোনো হতাশা আছে কিনা জানতে চাইলে শান্ত কণ্ঠে নাইম বলেন,
“আনলাকি বলতে কিছু নেই। আল্লাহ যা রিজিকে রেখেছেন, সেটাই হবে। সবার ক্যারিয়ার একরকম হয় না, আমার যেটুকু হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।”
গলের উইকেট নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণও শেয়ার করেন তিনি। তিনি আরো উল্লেখ করেন , “বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে উইকেট তুলনামূলক সহজ। অল্প সময় ভালো বল করলেই ফল পাওয়া যায়। কিন্তু এখানে অনেক বেশি ধৈর্য ধরে বোলিং করতে হয়। ফিল্ড প্লেসিংও এখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।”
পঞ্চম দিনের পরিকল্পনা জানতে চাইলে নাইম বলেন,
“উইকেট এখনও ভালো আছে, তবে ধীরে ধীরে ভাঙন ধরছে। শেষ দিনে সেটা আমাদের জন্য সহায়ক হতে পারে। যত বড় সংগ্রহ গড়তে পারি, ততই চাপ পড়বে ওদের ওপর।”
শান্ত-সাদমানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ইতিমধ্যে চালকের আসনে বসেছে বাংলাদেশ। এখন দেখার পালা, শেষ দিনে স্পিনের মোহে শ্রীলঙ্কাকে কতটা বিপর্যস্ত করতে পারে টাইগাররা।