close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

আনিসুল-সালমানকে অব্যাহতির নেপথ্য গোপন চক্রান্ত: তদন্ত কর্মকর্তার সাময়িক বহিষ্কার

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
তথ্য ফাঁস, তদন্তে নতুন মোড় জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হওয়া দুটি হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক
তথ্য ফাঁস, তদন্তে নতুন মোড় জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হওয়া দুটি হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় ডিবি পুলিশের একজন তদন্ত কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কী ঘটেছিল? ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় ছাত্র আন্দোলনের সময় সবুজ মিয়া ও মো. শাহ-জাহান মিয়া হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আরিফ। তবে তিনি এই প্রতিবেদনে নিজের পরিচয় গোপন করে থানা-পুলিশের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি না নিয়েই আদালতে জমা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অব্যাহতির চেষ্টার নেপথ্যে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান এবং জিয়াউল আহসান এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত নন। সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাব উল্লেখ করে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তার এমন পদক্ষেপ ধরা পড়ে যাওয়ায়, তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য নথিপত্রে দেখা গেছে, জাহাঙ্গীর আরিফ চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে ডিবি থেকে প্রাপ্ত কোনো প্রমাণ কিংবা ঊর্ধ্বতনদের সই নেননি। তিনি নিজেকে নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আদালতে জমা দেওয়ার চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানাজানির পর তিনি অসুস্থতার অজুহাতে ছুটিতে চলে যান। নতুন তদন্তের দায়িত্ব মামলাটি বর্তমানে ডিবির রমনা অঞ্চলের পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মনিরুল জানান, মামলাটি নতুন করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। জড়িতদের নাম প্রকাশ্যে আলোচিত এ মামলায় আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের নাম বাদ দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিবির সাবেক এডিসি সানজিদা আফরিনের বিরুদ্ধে। যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ডিএমপির পক্ষ থেকে তাঁর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল, তবে তা গ্রহণযোগ্য হয়নি। আলোচনায় জিয়াউল আহসান অন্যদিকে, মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান বলেছেন, তিনি কখনো “আয়নাঘরে” কাজ করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেছেন, এ মামলায় তাঁকে জড়ানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শেষ কথা এই ঘটনা শুধু একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক নয়, বরং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভেতরে থাকা বিভিন্ন অনিয়ম এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকে নতুন করে সামনে এনেছে। তদন্তের অগ্রগতি কীভাবে হয় এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত হয়, তা এখন সময়ের অপেক্ষা। নতুন তথ্য জানতে চোখ রাখুন।
Không có bình luận nào được tìm thấy