close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

আমেরিকায় এক আ ও য়া মী চো র পরিবার রোলস রয়েসে মসজিদে যায় , রনি..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি বললেন, আমেরিকায় এক বিশাল আওয়ামী লীগের চোর পরিবার রোলস রয়েস গাড়িতে মসজিদে যায়, যারা লুটপাট ও চোরাচালানে সম্পৃক্ত।..

সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনীতিবিদ গোলাম মাওলা রনি সম্প্রতি এক বিতর্কিত মন্তব্যে আমেরিকার মাটিতে বসবাসরত এক বিশাল আওয়ামী লীগ পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। রনি বলেন, “আমেরিকায় এক আওয়ামী লীগের পরিবারের সদস্যরা রোলস রয়েস গাড়িতে মসজিদে যায়। এই পরিবারটি চোর আর রাজনীতিতে লুটপাটে জড়িত।”

রনি বলেন, তিনি ওই পরিবারের নাম প্রকাশ করতে চান না কৌশলগত কারণে, তবে তাদের সম্পর্ক ও রাজনৈতিক পরিচিতি বেশ স্পষ্ট। একই পরিবারের একাধিক সদস্য সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে। “একই সময়ে একই সংসদে বাবা, ছেলে, ভাই এবং জামাই—সবাই এমপি ছিল। পাশাপাশি বেহাইও এমপি ও মন্ত্রী ছিলেন। এই পরিবারের আত্মীয়স্বজন সবাই মিলে দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে বড় ধরনের চোরাচালান চালায়।”

তিনি আরও বলেন, “এই চোর পরিবারের সদস্যরা যারা আমেরিকায় বসবাস করছেন, তাদের রোলস রয়েস গাড়ি নিয়ে মসজিদে যাওয়া দেখে আমরা যারা ওখানে আছি, লজ্জায় মাথা নত করি। তাদের লুটপাটের ছবি আমাদের কমিউনিটির মধ্যেও অপমানের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

রনি জানান, আমেরিকায় তিনি নিজে পরিশ্রম করে দু-একটা গাড়ি ও বাড়ি করেছেন, কিন্তু এই পরিবারের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা দেখে মনে হয় তারা সবকিছু অবৈধ পথে অর্জন করেছে। “আমি খুব কাছ থেকে ওই পরিবারটাকে চিনি। তারা রাজনৈতিক ক্ষমতা ও পদ ব্যবহার করে জনগণের টাকা লুটেছে এবং এ লুটপাট চলছে দীর্ঘদিন ধরে।”

এই পরিবারের দুর্নীতি ও লুটপাটের ফলে স্থানীয় কমিউনিটিতেও তাদের বিরুদ্ধে কটূক্তি ও অবজ্ঞার সৃষ্টি হয়েছে। রনি বলেন, “আমাদের কমিউনিটিতে জামায়াত, বিএনপি এবং অন্যান্য দলের লোকেরা আমাদেরকে এমনভাবে দেখায় যে, আমাদের আওয়ামী লীগ সম্পর্কিত চোর পরিবাররা এখানে রোলস রয়েস চালিয়ে মসজিদে যায়, যা আমাদের লজ্জিত করে।”

গোলাম মাওলা রনি বলেন, “আমি ওই পরিবারের নাম প্রকাশ করছি না, তবে তাদের কর্মকাণ্ডের তথ্য সবার কাছে স্পষ্ট। এই পরিবার শুধু বাংলাদেশে নয়, বিদেশেও তাদের প্রভাব বিস্তার করেছে।” তাদের মধ্যে একজন অনেকবার এমপি পদে নির্বাচিত হয়েছেন, তার ছেলে ও ভাইও একইসাথে সংসদে থেকে ক্ষমতা ব্যবহার করেছেন। এমনকি জামাই, বেহাই ও আত্মীয়স্বজনরাও বিভিন্ন সরকারি পদে থেকে ক্ষমতার সুযোগ নিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ক্ষতিসাধন করেছেন।

রনি অভিযোগ করেন, এই পরিবার চোরাচালান, ডাকাতি এবং লুটপাটে সরাসরি জড়িত। “তাদের চরিত্র ভালো না, বড় থেকে ছোট চোর সবাই এতে যুক্ত। তারা শুধু রাজনীতির মাধ্যমে নয়, ব্যবসায়িকভাবে ও জনগণের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।”

আমেরিকায় বসবাসরত অন্যান্য আওয়ামী লীগের কর্মীরা রনিকে ফোন করে এই পরিবারের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানায়, সাধারণ মানুষের হাতে কিছু নেই, তবে ওই পরিবার বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে। “আমরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিশ্রম করে দু-একটা বাড়ি গড়ে তুলি, আর ওইরা রোলস রয়েস গাড়িতে মসজিদে যায়।”

রনি বলেন, “আমাদের মধ্যে যারা এই পরিবারকে চেনেন, তারা জানেন যে তারা দেশের রাজনীতি এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতা কিভাবে ব্যবহার করে নিজেদের জন্য সুবিধা গড়ে তুলেছে। রাজনীতির নামে তারা নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এবং জনগণের টাকা লুটে নিচ্ছে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অভিযোগগুলো দেশের রাজনীতিতে নতুন এক ধরণের বিতর্কের সৃষ্টি করতে পারে। তাদের মতে, রাজনৈতিক দলগুলোকে এই ধরনের দুর্নীতি ও অপব্যবহার বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সর্বশেষ, রনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, যদি এই ধরনের দুর্নীতি চলতে থাকে, তাহলে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা আরও সংকটময় হবে এবং সাধারণ জনগণের আস্থা রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি হ্রাস পাবে।

Keine Kommentare gefunden