ম্যাচের সবচেয়ে নাটকীয় মুহূর্ত আসে নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষে। রিয়াল পেনাল্টির সুযোগ পেলেও গোল করতে ব্যর্থ হন মিডফিল্ডার ফেদেরিকো ভালভের্দে। তাঁর নেওয়া শট দারুণভাবে রুখে দেন আল-হিলালের গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনু—যিনি মরক্কোকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্যন্ত তুলে আনার অন্যতম নায়ক ছিলেন।
পুরো ম্যাচেই রিয়ালের রক্ষণভাগকে বারবার চাপে ফেলে রেখেছিল আল-হিলাল। শুরুতে সালেম আল দাওসারির প্রচেষ্টা ও মারকোস লিওনার্দোর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। রেনান লোডির একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। আরেকটি শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায় দাওসারির।
তবু ম্যাচের প্রথম গোলটি আসে রিয়ালের পক্ষে। ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে বিশ্রামে থাকায়, তাঁর জায়গায় সুযোগ পাওয়া স্প্যানিশ তরুণ গনজালো গার্সিয়া রদ্রিগোর সঙ্গে বোঝাপড়ায় ৩৪ মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে দেন। কিন্তু সেই লিড টিকেনি বিরতিও পর্যন্ত। প্রথমার্ধের শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে গোল করে আল-হিলালকে সমতায় ফেরান রুবেন নেভেস।
দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল মাদ্রিদ বলের দখল এবং আক্রমণে আধিপত্য রাখলেও কাঙ্ক্ষিত গোলটি আর পাওয়া হয়নি। পেনাল্টি মিসের যন্ত্রণা নিয়েই শেষ পর্যন্ত ড্র মেনে নিতে হয়।
এই ড্র রিয়াল মাদ্রিদের জন্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এশিয়ান কোনো ক্লাবের বিপক্ষে ৯০ মিনিটের খেলায় দ্বিতীয়বারের মতো জয়হীন থাকল তারা। এর আগে ২০১৬ সালে কাশিমা অ্যান্টলার্সের বিপক্ষে ক্লাব বিশ্বকাপ ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে জয় পেয়েছিল লস ব্লাঙ্কোসরা।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কোচ আলোনসো বলেন, "প্রথমার্ধে কিছুটা ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলাম, তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ফিরে এসেছি। প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে পেরেছি। কিন্তু সুযোগগুলো কাজে লাগানো যেত আরও ভালোভাবে।" প্রস্তুতির ঘাটতির কথা স্বীকার করে তিনি যোগ করেন, "মাত্র ৯ দিন হাতে ছিল আমাদের। অনেক খেলোয়াড় পুরোপুরি ফিটও নয়, তিন-চার দিনই কেবল অনুশীলন করতে পেরেছে। সময় লাগবে পুরোপুরি ছন্দে ফেরার জন্য।"
প্রথম ধাপেই হোঁচট খেলেও আলোনসোর অধীনে রিয়ালের সামনে অনেক পথ পড়ে আছে। তবে ক্লাব বিশ্বকাপের এই ড্র, বিশেষ করে ম্যাচের শেষ মুহূর্তে মিস করা সুযোগ—রিয়ালের জন্য সতর্ক সংকেত হয়ে থা