close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

আইডি না থাকলে রেহাই নেই! যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অভিবাসীরাও গ্রেফতার

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে গ্রেফতার অভিযান জোরদার করা হয়েছে। তবে, উদ্বেগজনকভাবে দেখা যাচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে গ্রেফতার অভিযান জোরদার করা হয়েছে। তবে, উদ্বেগজনকভাবে দেখা যাচ্ছে যে, বৈধ অভিবাসীরাও এই অভিযানে আটক হচ্ছেন, যদি তারা পরিচয়পত্র সঙ্গে না রাখেন বা প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারলাইন লেভিট জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে অভিবাসীদের সবসময় পরিচয়পত্র বহন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা না মানলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। বাংলাদেশি অভিবাসীও আটক এই অভিযানের শিকার হয়েছেন নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বসবাসরত এক বাংলাদেশি অভিবাসীও। সিলেটের বিয়ানীবাজারের বাসিন্দা সাব্বির আহমেদ ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন এবং রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তবে, সাম্প্রতিক অভিযানে তিনি গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে পেনসিলভেনিয়ার এক ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি রয়েছেন। বিস্তৃত অভিযানে হাজারো গ্রেফতার গত ১০ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ১০১৬ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সময়ে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টাকালে আরও ৮১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বস্টন, ওহাইও, নিউজার্সি ও মিশিগানে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেকেই রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। এই ধরপাকড়ের ফলে অভিবাসীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিউইয়র্কের বাণিজ্যিক এলাকাগুলো জনমানবশূন্য হয়ে পড়েছে। অভিবাসীদের উপস্থিতির ওপর নির্ভরশীল রেস্টুরেন্ট ব্যবসাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমনকি নিউইয়র্কের পাতাল রেলেও যাত্রীসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। জনমত ও প্রতিক্রিয়া নিউইয়র্ক টাইমস ও ইপসোসের এক সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ৫৫% আমেরিকান ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তবে, ৮৮% মানুষ মনে করেন, শুধুমাত্র গ্রেফতার ও বহিষ্কার করেই অভিবাসন সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তারা চাইছেন, অভিবাসন ব্যবস্থার সংস্কার। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে কংগ্রেসে অভিশংসনের দাবিতে ইতোমধ্যে এক লাখেরও বেশি আমেরিকান স্বাক্ষর করেছেন। ডিপোর্টেশনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া অধিকাংশ অভিবাসীকে বিশেষ বিমানে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সীমান্ত নিরাপত্তা আরও কঠোর করার পাশাপাশি, যারা ইতোমধ্যে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে, তাদেরও বহিষ্কার করা হবে যাতে ভবিষ্যতে নতুন কেউ অবৈধ উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সাহস না পায়। এই কঠোর অভিযানের ফলে বৈধ ও অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। অভিবাসন নীতির এই কঠোর অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
Nema komentara


News Card Generator