close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

আগামী বছরের ৩০ জুনের পর দায়িত্বে থাকবেন না ড. ইউনূস : প্রেস সচিব..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—৩০ জুনের পর তিনি আর একদিনও দায়িত্বে থাকতে চান না। সব রাজনৈতিক দল নির্ধারিত সময়েই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। এদিকে অন্তর্বর্তী..

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার দায়িত্ব পালনের নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন। তিনি ৩০ জুন ২০২৬ এর পর আর একদিনও দায়িত্বে থাকতে চান না—এই ঘোষণা দিয়েছেন তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর যমুনা সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক সংলাপের দ্বিতীয় দিনের শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে অংশ নেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর এ ঘোষণা আসে।

প্রেস সচিব বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেছেন, ৩০ জুনের পর তিনি ক্ষমতায় থাকতে চান না। তিনি চান, এর আগেই একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।”

তিনি আরও বলেন, দেশের সকল রাজনৈতিক দলই এই সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে একমত হয়েছে। “নেতারা প্রফেসর ইউনূসকে সমর্থন জানিয়েছেন। তারা যে সংস্কার চলছে, যে বিচার কাজ শুরু হয়েছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া এগোচ্ছে—এসব উদ্যোগে পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছেন,” যোগ করেন প্রেস সচিব।

রবিবারের বৈঠকে অংশ নেয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, গণ অধিকার পরিষদ, নেজামে ইসলামী পার্টি ও হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতারা।

এই বৈঠকে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি মূল লক্ষ্য—সংস্কার, নির্বাচন এবং স্বৈরতান্ত্রিক প্রভাবমুক্ত বিচার কার্যক্রম—নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন এবং তাদের মতামত উপস্থাপন করেন।

প্রেস সচিব আরও জানান, “সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময়ের পরে সরকার তার অবস্থান আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে। সর্বদলীয় ঐক্য ও রাজনৈতিক সমঝোতার বিষয়ে দলগুলোর অভিমত বিবেচনায় নিয়েই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় (২৪ মে) বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। সেখানেও একই ধরনের বার্তা দেন তিনি।

ড. ইউনূস জানান, ডিসেম্বর ২০২৫ থেকে জুন ২০২৬–এই সময়সীমার মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং এর বাইরে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না।

তিনি বলেন, “এই সময়ের মধ্যেই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের সকল প্রস্তুতি চলছে। সকল দল চাইছে একটি স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর। তাই নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পর্যন্ত সকল প্রতিষ্ঠানকে কার্যকরভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ড. ইউনূসের এই সময়সীমা নির্ধারণ রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিচ্ছে। এটি একদিকে যেমন নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াবে, অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার পথ তৈরি করবে।



প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার মাধ্যমে দেশের আগামী নির্বাচনী দিকনির্দেশনা আরও পরিষ্কার হলো। এখন সময় সকল দলের আন্তরিক সহযোগিতা ও নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে কাজ করার।

没有找到评论