close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ছাত্র আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে উত্তাল শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এক মানববন্ধন থেকে তারা পুলিশ প্রশাসনকে ৭ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের দাবি
বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা বলেন, "পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না। আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই, যদি দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হয়, তবে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।"
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর সদস্য সচিব রহমত আলী বলেন, "আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে রংপুরে পুলিশকে মেনে নেওয়া হবে না। এমনকি রংপুরের মাটিতে তাদের কোনো জায়গা থাকবে না।"
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, "ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুগত পুলিশ প্রশাসনের কারণে আসামিরা আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে। যারা এই হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত তাদেরও আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ।"
আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার
আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী গত ১৮ আগস্ট রংপুর আদালতে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩০ থেকে ৩৫ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। পরবর্তীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বেরোবির সাবেক ভিসি হাসিবুর রশিদ এবং সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ সাতজনের নাম মামলায় সম্পূরক এজাহারে যোগ করা হয়।
আদালতের নির্দেশে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, রংপুর মহানগর পুলিশের এএসআই আমির হোসেন এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়সহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি, মূল আসামিরা এখনো পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
হুঁশিয়ারি শিক্ষার্থীদের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন বলেন, "আমরা আজকের এই মানববন্ধন থেকে হুঁশিয়ার করছি, যদি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করা হয়, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কঠোর কর্মসূচি হাতে নিতে বাধ্য হবে।"
আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছেন। যদি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আর কোনো প্রকার গাফিলতি দেখা যায়, তবে রংপুরে কঠোর আন্দোলনের সম্মুখীন হতে হবে বলে জানান তারা।
এই প্রতিবেদনটি নিরপেক্ষতা বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের দাবিকে প্রাধান্য দিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের দ্রুত সুরাহা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
Aucun commentaire trouvé



















