close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

আবারও গাজা দখলের পক্ষে ট্রাম্প, সরাসরি বললেন 'বাসিন্দাদের সরিয়ে ফেলতে হবে'..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ আবারও ইসরায়েলের হাতে দেওয়ার আহ্বান জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, গাজার বাসিন্দাদের সরিয়ে সেখানে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প..

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে। সম্প্রতি তিনি গাজা উপত্যকা নিয়ে এমন এক মন্তব্য করেছেন যা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “গাজা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়ে অঞ্চলটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে।” তাঁর এই বক্তব্য ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটকে আরও জটিল করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ট্রাম্পের ভাষ্যমতে, “যদি আপনি গাজার সমস্যা সমাধান করতে চান, তাহলে সেখানে আর কাউকে রাখা যাবে না। সেখান থেকে সবাইকে সরাতে হবে এবং সেই জায়গার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলকে যদি বাঁচাতে হয়, তাদেরকে কঠোর হতে হবে, এবং গাজা থেকে সব ফিলিস্তিনি সরাতে হবে।”

এই বক্তব্য দেয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। জাতিসংঘের এক মুখপাত্র বলেন, “গাজা উপত্যকার অধিবাসীরা তাদের নিজ ভূমিতেই অবস্থান করছেন। তাদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের শামিল।”

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য ইসরায়েলকে নতুন করে উসকানি দিতে পারে। ইতিমধ্যেই গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, আহত হয়েছে আরও অনেকে। ট্রাম্পের কথাগুলো যেন সেই আগুনে ঘি ঢালার মতো।

বিশ্ব রাজনীতি বিশ্লেষক ড. আমির হোসাইন বলেন, “এ ধরনের মন্তব্য শুধু সহিংসতাকেই উসকে দেয় না, বরং ভবিষ্যতে আরও বড় সংঘর্ষের দিকে বিশ্বকে ঠেলে দেয়।”

এই প্রথম নয়, এর আগেও ডোনাল্ড ট্রাম্প বহুবার ইসরায়েলের পক্ষে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তিনি বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রাম্পের এমন মন্তব্য ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্বের ওপর সরাসরি আঘাত। গাজার মানুষ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ঐ অঞ্চলে বসবাস করছে। তাদের উচ্ছেদের ভাবনাই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

বিশ্ব সম্প্রদায়ের অনেকেই এখন প্রশ্ন তুলছে — ট্রাম্প যদি পুনরায় প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরবে না, বরং আগুন আরও ছড়িয়ে পড়বে।

এখন দেখার বিষয়, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিকরা এবং বিশ্বনেতারা ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

Tidak ada komentar yang ditemukan