আড়াই লাখ ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুললেন রাহুল গান্ধী

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
৩ লাখ ভোটারের নাম তালিকা থেকে মুছে দেওয়া হয়েছিল, যা কংগ্রেসের দাবি অনুযায়ী, কংগ্রেস সমর্থকদের লক্ষ্য করে করা হয়েছিল।..

ভারতের হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন 'চুরি' করা হয়েছে—এমন গুরুতর অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশন (EC) এবং বিজেপি-র বিরুদ্ধে নতুন করে ময়দানে নেমেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। "এইচ ফাইলস" (H Files) নামে নথি প্রকাশ করে তিনি দাবি করেছেন, প্রায় ২.৫ লাখ (আড়াই লাখ) ভোট জালিয়াতি করা হয়েছে। এই জালিয়াতি কেন্দ্রীয় স্তরে 'শিল্প-স্কেলে' (Industrial Scale) পরিচালিত হয়েছে এবং ইসি তথ্য লুকিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ডকুমেন্ট ও প্রমাণের সঙ্গে এটি প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে, হরিয়ানার ভোট চুরি করা হয়েছে। তার দাবি, মাত্র ২২,০০০ ভোটে হারা কংগ্রেসকে ইচ্ছাকৃতভাবে হারানো হয়েছে, যেখানে ২ কোটি ভোটারের মধ্যে প্রায় ২.৫ লাখ ভোট ছিল জালিয়াতির শিকার। তিনি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, তিনি ভুল বললে ইসি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে দেখাক। তবে অভিযোগ উঠেছে, ইসি সেই ফুটেজ ইতোমধ্যে মুছে দিয়েছে।

ব্রাজিলিয়ান মডেলের প্রমাণ ও জালিয়াতির কৌশল রাহুল গান্ধী তাঁর সংবাদ সম্মেলনে এক ব্রাজিলিয়ান মডেলের ছবি দেখিয়ে দাবি করেন, এই মডেলের ছবিই ভিন্ন ভিন্ন নামে ২২ বার ভোটার তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। জালিয়াতির এই কৌশলকে তিনি 'সেন্ট্রালাইজড অপারেশন' বা কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালিত পদ্ধতি বলে দাবি করেন। কংগ্রেসের গবেষণা অনুযায়ী, জালিয়াতিটি মূলত তিনভাবে করা হয়েছে:

  • জাল ভোটার তৈরি: ভোটার তালিকায় কিছু ভোট মুছে দেওয়া হয়েছে, কিছু দ্বৈত (Duplicate) ভোট তৈরি হয়েছে এবং জাল/বেনামি ভোটার তৈরি করা হয়েছে।

  • 'ভূতের ভোটার': রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, ভোটার তালিকায় যেসব বাড়ির নম্বর 'শূন্য' (Zero) দেখানো হয়েছে, সেগুলো আসলে 'ঘোস্ট ভোটার' (Ghost Voters) তৈরি করার একটি কৌশল। এছাড়াও, নথিতে দেখা যায়—একটি বাড়িতেই ৬৬ বা ১০৮ জন ভোটার থাকার মতো অস্বাভাবিক ঘটনাও ঘটেছে।

  • টার্গেটেড বিয়োগ: ৩ লাখ ভোটারের নাম তালিকা থেকে মুছে দেওয়া হয়েছিল, যা কংগ্রেসের দাবি অনুযায়ী, কংগ্রেস সমর্থকদের লক্ষ্য করে করা হয়েছিল।

নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক যোগসাজশ রাহুল গান্ধী সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন, ইসি এই ভোট চুরির সমস্ত কিছুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অংশীদারিত্বে (in partnership) রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ইসি-র পক্ষ থেকে কোনো পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট জবাব আসছে না, বরং শুধু 'আবেগী' মন্তব্য করা হচ্ছে। পূর্ববর্তী জালিয়াতির অভিযোগের পর ইসি ভোটার সংযোজন বা বিয়োগের তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইসি হয় চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে, অথবা তারা জালিয়াতির এই নকশার সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে যুক্ত।

Geen reacties gevonden


News Card Generator