আ ন্দো লনের মাধ্যমে ফ্যা সিস্ট তাড়িয়েছি, চাঁ দাবা জও তা ড়াব : ফয়জুল করীম....

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
কুড়িগ্রামে বিশাল গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতা ফয়জুল করীম বলেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারকে যেমন আন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় করা হয়েছে, ঠিক তেমনি চাঁদাবাজ ও লুটেরাদের বিরুদ্ধেও সংগ্রাম চলবে। সমাবেশে ভারতে..

কুড়িগ্রামে ফয়জুল করীমের হুঁশিয়ারি, ফ্যাসিস্ট বিদায় হয়েছে, এবার চাঁদাবাজদের পালা

কুড়িগ্রামে আয়োজিত বিশাল গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম সরাসরি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, “আমরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টদের বিতাড়িত করেছি, এবার চাঁদাবাজদেরও তাড়িয়ে ছাড়ব।

শনিবার (২১ জুন) বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফয়জুল করীম বলেন, “স্বাধীনতার যে লক্ষ্য ছিল, তা এখনও পূরণ হয়নি। চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির দৌরাত্ম্য এখনও অব্যাহত। এটা কোনো স্বাধীন দেশের লক্ষণ হতে পারে না।

ফয়জুল করীম তার বক্তব্যে ভারতের রাজনৈতিক প্রভাবের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “বাংলাদেশে ভারত তথা বিদেশি দালালদের কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। যারা ভারতের ছত্রছায়ায় ক্ষমতায় যেতে চায়, জনগণ তাদের বিতাড়িত করে ভারতেই পাঠাবে। আমাদের দেশের মানুষ কখনো ভারতের সামনে মাথা নত করবে না, কোনো গোলামির চুক্তিও মেনে নেবে না।”

তিনি বলেন, “বিগত সরকারের সময় উন্নয়নের নামে ছিল অর্থ পাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহার। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ হবে সাম্যের দেশ। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—সবার জন্য থাকবে সমান অধিকার। গড়বো উন্নয়নের বাংলাদেশ, যেখানে নাগরিকরা পাবে প্রকৃত ন্যায়ের অধিকার।

সমাবেশে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, “পূর্ববর্তী রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। এই দুষ্টচক্র ভেঙে দিতে চাই সুষ্ঠু নির্বাচন ও পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির প্রবর্তন।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে শুধু নির্বাচন দিয়েই পরিবর্তন সম্ভব নয়; প্রয়োজন পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র সংস্কার।”

দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, “আগে একটি দল চাঁদাবাজি করতো, এখন আরেকটি দল করছে। চাঁদাবাজি এখনও বন্ধ হয়নি। সরকারপন্থী একটি দল নির্বাচনে যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছে, অথচ দেশে এখনও সমান সুযোগের পরিবেশ নেই।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের চার দফা মূল দাবি—রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন এবং চাঁদাবাজ ও লুটেরাদের বিতাড়ন।

সমাবেশের শেষদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কুড়িগ্রামের চারটি সংসদীয় আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়।


  কুড়িগ্রাম-১: হারিসুল বাড়ী রনি
  কুড়িগ্রাম-২: অধ্যক্ষ মুহা. নূর বখত
  কুড়িগ্রাম-৩: অধ্যাপক ডা. আক্কাস আলী
  কুড়িগ্রাম-৪: হাফিজুর রহমান

সব প্রার্থীই নির্বাচন করবেন ইসলামী আন্দোলনের প্রতীক হাতপাখা নিয়ে।

ফয়জুল করীমের কুড়িগ্রামের গণসমাবেশে বক্তব্য নতুন এক রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছে। সাম্য, ন্যায়বিচার, ও চাঁদাবাজ মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে ইসলামী আন্দোলনের প্রতিশ্রুতি এবং নির্বাচন নিয়ে সংশয়, রাজনৈতিক মাঠে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে।

No comments found


News Card Generator