আ. লীগের পতনের আগে ৩৫টি সাজানো মামলা: হত্যার দায়ে বিএনপি-জামায়াত জড়িত নয়, তদন্তে উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
রাজধানীতে জুলাই হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের করা ৩৫টি মামলার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এসব মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অভিয
রাজধানীতে জুলাই হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের করা ৩৫টি মামলার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এসব মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অভিযুক্ত করা হলেও পুলিশি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, তাদের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই। হত্যার সঙ্গে প্রকৃত অপরাধীরা কারা, সেটি বের করতে না পেরে সম্প্রতি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। তবে ৩৫ মামলায় ৬২টি হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে না পারা পুলিশের দায়িত্ব পালনে বড় ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত না করে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ায় প্রশ্ন উঠবে। বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করার প্রক্রিয়া ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৮২৬ জন নিহতের তালিকা প্রকাশ করে গণ-অভ্যুত্থান সেল। সেই সময় আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে রাজনৈতিক দায় এড়ানোর চেষ্টা করে। তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ভূমিকা ছিল। পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে অন্তত ৯টি মামলায় বলা হয়েছে, হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জড়িত থাকতে পারেন। তবে কারা এই অপরাধে সম্পৃক্ত, তা নির্ধারণে ব্যর্থ হয়েছেন তদন্তকারীরা। চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রামপুরা, যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, বাড্ডা, এবং কদমতলীর বিভিন্ন মামলায় অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীদের হাতে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পুলিশ বলেছে, ভবিষ্যতে প্রমাণ পেলে মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করা হবে। আইন বিশেষজ্ঞদের মতামত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, "হত্যা মামলার সঠিক তদন্ত ছাড়া ন্যায়বিচার সম্ভব নয়। পুলিশ যদি দোষীদের শনাক্ত করতে না পারে, তা হলে এটি বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।" সরকার পতনের পর নিহতদের স্বজনরা নতুন মামলা করেছেন, যা বর্তমানে তদন্তাধীন। তবে পুলিশি ব্যর্থতা ও চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। অপরাধীদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থতা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা অজ্ঞাত দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে হত্যার ঘটনা উল্লেখ থাকলেও, তাদের পরিচয় এখনো অজানা। এমনকি, পুলিশের পক্ষ নিয়ে গুলি চালানো সন্ত্রাসীদেরও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় পুলিশের দায়িত্বহীনতা এবং সরকারের সময়ের মামলা পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে।
没有找到评论