close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট! ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য রাজস্ব ও ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রা চমকে দিল

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটের আকার হতে পারে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকা। শ্বেতপত্র কমিটির সদস্য ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এই পূর্
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটের আকার হতে পারে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকা। শ্বেতপত্র কমিটির সদস্য ও বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন এই পূর্বাভাস দিয়েছেন। তিনি জানান, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হতে পারে ৫ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা, আর বাজেট ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে। শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি-২০২৪ আয়োজিত "শ্বেতপত্র এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট" শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থনৈতিক চিত্র: প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি ও রিজার্ভ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, চলতি অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৪ শতাংশ। ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌঁছাতে অন্তত আরও দুই বছর সময় লাগবে। তিনি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করে বলেন, “মূল্যস্ফীতির আগুন নেভাতে পানির বদলে তেল ঢালা হয়েছে।” বিশ্বব্যাংকের সাবেক এই অর্থনীতিবিদ আরও জানান, ২০২২ সাল থেকে প্রতিমাসে ১০০ কোটি ডলার রিজার্ভ কমেছে। তিনি বলেন, "সরকারি হিসাবে ২০১৪ সাল থেকে প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির কথা বলা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। আমাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০০৯-২০১৯ সালের গড় প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ২ শতাংশ, যা সরকারি হিসাবের ৭ শতাংশ থেকে অনেক কম।" ঋণ ব্যবস্থার চরম সংকট ব্যাংক খাতের ঋণ পরিস্থিতি তুলে ধরে ড. জাহিদ বলেন, "গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকখাতে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা, যা জুন শেষে ছিল ৬ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা।" অর্থনীতির এই চিত্র ভবিষ্যতের জন্য গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আরও সুপরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সিম্পোজিয়ামের মূল বার্তা শ্বেতপত্র কমিটি আয়োজিত এই সিম্পোজিয়ামে আরও অনেক অর্থনীতিবিদ উপস্থিত ছিলেন। তারা অর্থনৈতিক সংস্কার ও বাজেট প্রণয়নে স্বচ্ছতা এবং কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নের তাগিদ দেন। সামনের বছরগুলোতে বাংলাদেশ কেমন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে? সময়ই তা বলে দেবে।
Inga kommentarer hittades


News Card Generator