close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
৮ বছর পর কবর থেকে উত্তোলন হলো চিকিৎসকের মরদেহ! মৃত্যুর আসল কারণ জানতে তদন্ত শুরু


ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আদালতের নির্দেশে ৮ বছর পর কবর থেকে উত্তোলন করা হলো এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের মরদেহ। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এই মরদেহ উত্তোলন করেছে, যা থেকে তদন্তের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার রাড়িপাড়া গ্রামে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন আলমের নেতৃত্বে মরদেহ উত্তোলন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। পরিবার এবং স্থানীয়দের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে, যখন ৮ বছর পর হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
মাজিদ হোসেন (৫০), যিনি ওই এলাকার পরিচিত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ছিলেন, ২০১৭ সালের ৫ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর কোনো ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ ৮ বছর পর, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মাজিদ হোসেনের ছোট ভাই আব্দুল আলিম দাবি করেন যে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এ কারণে, তিনি স্থানীয় আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং তার চাচাতো ভাই সাজ্জাদ হোসেনকে আসামি করেন।
এ ঘটনায় আদালত মামলার তদন্ত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেয়। ঝিনাইদহের আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল আওয়াল মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ধারণের জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন আলম জানান, “ময়নাতদন্তের পর মরদেহের প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এখন তদন্ত চলছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতেই নিশ্চিত হওয়া যাবে, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল নাকি হত্যাকাণ্ড।”
এছাড়া, ময়নাতদন্তে যদি হত্যার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে এটি এলাকার জন্য একটি বড় ধরনের চমক হিসেবে প্রকাশিত হবে। মামলার তদন্ত এখনও চলছে এবং আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশ ও তদন্তকারী কর্মকর্তারা প্রমাণ সংগ্রহে কাজ করছেন।
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যেহেতু দীর্ঘ ৮ বছর পর তদন্ত শুরু হয়েছে এবং মরদেহ উত্তোলনের মাধ্যমে এক নতুন দিক উন্মোচিত হতে পারে। ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য এটি একটি চ্যালেঞ্জের মুহূর্ত, যেখানে তারা মৃত্যুর আসল কারণ জানতে এবং ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
মৃত্যুর আসল কারণ কি? এই প্রশ্ন এখন এলাকাবাসীর মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর তদন্তের ফলাফল সবাই তাকিয়ে আছে।
لم يتم العثور على تعليقات