জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁর নির্বাচনি আসন কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) এলাকায় নতুন রাজনীতির এক স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ভানী ও সুলতানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পদযাত্রা ও গণসংযোগে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, মাত্র ৯ মাস বয়সী একটি নতুন দল হিসেবে বাপ-দাদার পরিচয় ও বিপুল অর্থবিত্ত ছাড়া ৫০০ ভোট অর্জন করাও অনেক বড় বিষয়। তাঁর এই বক্তব্য দেশের প্রচলিত রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্র ও অর্থের প্রভাবের বিপরীতে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
হাসনাত আবদুল্লাহ নিজেকে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "আমার কোনো বড় বংশ নেই, টাকা-পয়সা নেই, বিদেশে পড়াশোনাও করি নাই। আমি আপনাদের মধ্য থেকেই উঠে এসেছি।" এর মাধ্যমে তিনি স্থানীয় রাজনীতিতে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার এবং প্রতিষ্ঠিত শক্তির বাইরে এসে মানুষের সমর্থন আদায়ের প্রচেষ্টা তুলে ধরেন।
গণসংযোগে তিনি সাম্প্রতিক ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে কিছু নেতার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি অভিযোগ করেন, "বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকেও রাস্তায় দেখেছি। অথচ এখন তাদের একজন বলছেন, তারা নাকি আওয়ামী লীগ! ভাবুন তো, তারা কারা?" এই মন্তব্যটি রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে তিনি প্রতিপক্ষের অবস্থান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
এনসিপি নেতা রাজনৈতিক সহনশীলতার ওপর জোর দেন। তিনি তাঁর অনুসারীদের উদ্দেশে বলেন, "কেউ আমাদের পাথর মারলে আমরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করব। কেউ গালি দিলে সালাম দেব। বাকিটা আল্লাহর হাতে। আপনারা কোনো বিভেদে যাবেন না।" দেবিদ্বারের খাদঘর, সূর্যপুর, সাহাড়পাড়, ফুলতলি, নূয়াগাঁও সহ মোট তেরোটি এলাকায় তিনি গণসংযোগ ও পথসভায় বক্তব্য রাখেন। এই বার্তা নতুন ধারার রাজনীতিকে শান্তিপূর্ণ পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার বহন করছে।



















