close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

৫ ব্যাংকে ফরেনসিক অডিট: অনিয়ম উন্মোচনে কঠোর উদ্যোগ

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঋণ কেলেঙ্কারি ও নানা অনিয়মে ডুবে যাওয়া পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংকের কার্যক্রমে ‘ফরেনসিক অডিট’ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংক খাত সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স। প্রাথমিক
ঋণ কেলেঙ্কারি ও নানা অনিয়মে ডুবে যাওয়া পাঁচটি বেসরকারি ব্যাংকের কার্যক্রমে ‘ফরেনসিক অডিট’ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংক খাত সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স। প্রাথমিকভাবে শরিয়াহভিত্তিক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে অডিট কার্যক্রম শুরু হবে। ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন শনিবার ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। তার স্থানে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মো. ইয়াহিয়াকে এমডি-র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাকি চার ব্যাংকেও অডিটের সিদ্ধান্ত টাস্কফোর্সের প্রস্তাব অনুযায়ী, আরও চারটি ব্যাংক— এক্সিম ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক—এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদেরও বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনক্রমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ফরেনসিক অডিট কেন? ফরেনসিক অডিটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়কালে হওয়া সব লেনদেন, অনিয়ম, এবং মুছে ফেলা ডেটা খতিয়ে দেখা হবে। ব্যাংক খাত সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক যৌথভাবে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এস আলম গ্রুপের ভূমিকা অডিটের আওতায় আনা পাঁচটি ব্যাংকই বিতর্কিত এস আলম গ্রুপের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে ছিল। আগের সরকারের সময় এই গ্রুপের প্রভাবশালী অবস্থান থাকলেও বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে তদন্ত চলছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগ গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। আর্থিক খাতের অনিয়ম ও কেলেঙ্কারি দূর করতে সরকারের প্রকাশিত শ্বেতপত্রে ব্যাংক খাতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা হয়। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাংলাদেশ ব্যাংককে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বিশ্বব্যাংকও ফরেনসিক অডিট কার্যক্রমে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্যাংক খাতের ভবিষ্যৎ ফরেনসিক অডিটের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর অনিয়ম উন্মোচিত হলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে টাস্কফোর্স। এটি ব্যাংকিং খাতের স্বচ্ছতা ও গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এবারের উদ্যোগ আর্থিক খাতের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধানে মাইলফলক হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি


News Card Generator