অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী তার ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনীত হুমকি ও টাকা আত্মসাতের মামলাকে ভিত্তিহীন দাবি করে, ফেসবুক বিবৃতিতে অভিযোগের প্রমাণ চেয়েছেন।
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী তার এবং ছোট ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানি ও আর্থিক আত্মসাতের মামলার অভিযোগগুলো প্রকাশ্যে খণ্ডন করেছেন। গত রবিবার (১৬ নভেম্বর) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পাওয়ার পর সোমবার (১৭ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক পেজে এক ‘অফিসিয়াল বিবৃতি’ প্রকাশ করে তিনি এই বিষয়ে তার অবস্থান তুলে ধরেন।
অভিনেত্রী জানান, গত মার্চ মাসে একজন ‘অজানা ব্যক্তি’ সম্পূর্ণ প্রমাণহীনভাবে মামলাটি দায়ের করেন। দীর্ঘ নয় মাসেও তিনি বা তার পরিবার কোনো আইনি নোটিশ পাননি, কারণ অভিযোগকারী পুলিশকে তার সঠিক ফোন নম্বর বা ঠিকানা দিতে পারেননি।
বিবৃতিতে মেহজাবীন অভিযোগকারীর প্রতিটি দাবিকে পয়েন্ট-আকারে চ্যালেঞ্জ জানান। অভিযোগকারীর দাবি ছিল তিনি ২০১৬ সাল থেকে মেহজাবীনের সাথে 'ব্যবসা' করছিলেন এবং তাকে ২৭ লাখ টাকা দিয়েছেন। মেহজাবীন পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ২০১৬ সাল থেকে যোগাযোগের কোনো প্রমাণ, যেমন—ফেসবুক মেসেজ, হোয়াটসঅ্যাপ বা ফোন কলের উত্তর বা এমনকি একটি স্ক্রিনশটও অভিযোগকারী দেখাতে পারেননি। তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, ২৭ লাখ টাকার দাবি সত্ত্বেও অভিযোগকারী কোনো ব্যাংক লেনদেন, চেক, বিকাশ রেকর্ড, লিখিত চুক্তি, রশিদ বা সাক্ষী কিছুই দেখাতে পারেননি—'একটি কাগজপত্রও নেই'।
১১ ফেব্রুয়ারির একটি কথিত অপহরণের ঘটনাও সম্পূর্ণ প্রমাণহীন বলে দাবি করেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ঢাকার সবচেয়ে সিসিটিভি-নিয়ন্ত্রিত এলাকা হাতিরঝিলের একটি রেস্টুরেন্টে চোখ বেঁধে তাকে নিয়ে যাওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটির এক সেকেন্ডের সিসিটিভি ফুটেজ বা কোনো সাক্ষীও অভিযোগকারী ৯ মাসে জমা দিতে পারেননি। মেহজাবীন আইনি প্রক্রিয়ার প্রতি তার শ্রদ্ধার কথা জানিয়ে বলেন, যদিও মামলার কোনো ভিত্তি নেই, তবুও ওয়ারেন্ট জারির খবর পেয়ে তিনি দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া মেনে জামিন নিয়েছেন।



















