ইশরাকের কণ্ঠে রাজনৈতিক বাস্তবতার হুঁশিয়ারি — “রাজনীতি শিখতে সময় লাগে, প্রতারণা নয়!”
রাজনীতির মাঠে আবারও আলোচনায় এলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সহায়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি বিস্তৃত পোস্টে তিনি ন্যাশনালিস্ট কনজারভেটিভ পার্টি (এনসিপি) এবং এর শীর্ষনেতা সারওয়ার তুষারকে সরাসরি সমালোচনা করেন।
ফেসবুক পোস্টে ইশরাক হোসেন বলেন, "আপনারা বিএনপির মতো হতে চাইলে, অবশ্যই হতে পারবেন। কিন্তু সেটা রাতারাতি নয়, সময় লাগবে। আপনাদের অন্তত ২০ থেকে ২৫ বছর মানুষের পাশে থেকে রাজনীতি করতে হবে। অভিজ্ঞতা ছাড়া রাজনীতির গভীরতা বোঝা যায় না।”
এই বক্তব্যে ইশরাক ইঙ্গিত করেন যে, রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে হলে কেবল বক্তব্যে নয়, কাজের মাধ্যমেই জনগণের আস্থা অর্জন করতে হয়।
তিনি জানান, এনসিপি নেতা সারওয়ার তুষার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তিনি ‘মেয়র হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করে প্রতারণা করেছেন’। এ প্রসঙ্গে ইশরাক বলেন, “জনাব তুষার যদি মনোযোগ দিয়ে আমার বক্তব্য শুনতেন, তাহলে বুঝতেন আমি কোথাও প্রতারণা করিনি। বরং আমি স্পষ্টভাবে বলেছি, আমি একজন বৈষম্যের শিকার প্রার্থী। আমাকে আমার ন্যায্য আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, "ঢাকার মানুষ এমন নয় যে তারা শুধু কাউকে মেয়র বানানোর জন্য রোদে-বৃষ্টিতে আন্দোলন করে। তারা তাদের সন্তানের ওপর অন্যায় দেখেই পথে নেমেছে। এটা তাদের অন্তরের আহ্বান, কোনও রাজনৈতিক নাটক নয়।”
ইশরাক বলেন, “রাজনীতিতে আঞ্চলিক বাস্তবতা বুঝতে হলে, বহু বছর মানুষের পাশে থাকতে হয়। আন্দোলনের মাঠে থেকে, মানুষের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হয়। এটিই আসল রাজনীতি।”
এই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, এর আগেও বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলন ও সাক্ষাৎকারে তিনি যেসব অন্যায়ের শিকার হয়েছেন, তা তুলে ধরেছেন। সেই সময় থেকেই তিনি দোষীদের পদত্যাগ দাবি করে আসছেন।
সবশেষে ইশরাক হোসেন বলেন, “বিএনপির মতো সংগঠন গড়তে হলে ধৈর্য লাগে, সময় লাগে। রাতারাতি জনপ্রিয়তা আসে না। রাজনৈতিক পরিপক্কতা অর্জনের জন্য অন্তত ২০ থেকে ২৫ বছরের জনসংস্পর্শ, ত্যাগ এবং অভিজ্ঞতা লাগে। যদি সঠিক পথে থাকেন, একদিন হয়তো পারবেন। কিন্তু shortcut দিয়ে নয়।”
📌 সারাংশ:
ইশরাক হোসেনের এই পোস্ট রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। যেখানে তিনি শুধু ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষা দেননি, বরং বর্তমান রাজনীতির কাঠামো এবং একটি দল কীভাবে মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারে— সে বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। তিনি এনসিপিকে পরোক্ষভাবে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, এবং বর্তমান অভিযোগগুলোর সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।