close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

২৫ বছর পর জার্মানিকে হারাল পর্তুগাল, ইতিহাস গড়লেন ‘কনসিসাঁও জুটি’..

Mehedi Hasan avatar   
Mehedi Hasan
জার্মানিকে হারাতে পর্তুগালের অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ ২৫ বছর। শুনে অবাক লাগলেও—এই বাস্তবতাই রচিত হয়েছে গতকাল মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায়।..

২০০৪ সালে পর্তুগালের জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। লম্বা ক্যারিয়ারে দলকে বহু ঐতিহাসিক মুহূর্ত উপহার দিলেও, জার্মানির বিপক্ষে কখনো জয়ের স্বাদ পাননি তিনি। অবশেষে সেই অপূর্ণতা ঘুচল। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়ে ন্যাশনস লিগের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পর্তুগাল।

২০০০ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ স্টেজ থেকে ২০২৫ সালের ন্যাশনস লিগের সেমিফাইনাল—এই দুই ম্যাচের মাঝখানে সময়ের ব্যবধান পাক্কা ২৫ বছর। রটারডামে প্রথম ম্যাচে ৩-০ গোলে জিতেছিল পর্তুগাল। গতরাতের সেমিফাইনালে ব্যবধান ২-১। কাকতালীয় হলেও, এই দুই ম্যাচেই জড়িয়ে এক পিতা-পুত্র—সার্জিও কনসিসাঁও ও ফ্রান্সিসকো কনসিসাঁও।

চলুন একটু টাইম মেশিনে চড়ে ফিরে যাই ২০০০ সালের সেই স্মরণীয় ম্যাচে। গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে জার্মানিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল পর্তুগাল। তখনকার সোনালি প্রজন্ম—লুইস ফিগো, রুই কস্তা, পাউলেতারা ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। আর সবার আড়ালে থাকা সার্জিও কনসিসাঁও হয়ে উঠেছিলেন নায়ক। করেছিলেন দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক—৩৫, ৫৪ ও ৭১ মিনিটে গোল করে জার্মানির কফিনে পেরেক ঠুকে দিয়েছিলেন তিনি।

এবার ফিরে আসা যাক বর্তমানের মঞ্চে। মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ন্যাশনস লিগের সেমিফাইনাল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফ্লোরিয়ান ভির্টজের গোলে এগিয়ে যায় জার্মানি। পর্তুগাল তখন প্রায় বিদায়ের মুখে। রোনালদো, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, বের্নার্দো সিলভারা গোলের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালালেও কিছুতেই ফল মিলছিল না।

এই পরিস্থিতিতে কোচ রবার্তো মার্তিনেজ ৫৮ মিনিটে উইং থেকে উঠিয়ে নেন ট্রিনকাওকে, আর মাঠে নামান মাত্র ২২ বছর বয়সী ফ্রান্সিসকো কনসিসাঁওকে। আর ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই বদলি এই তরুণ লিখে ফেলেন নিজের গল্প।

পোর্তো থেকে ধারে জুভেন্টাসে খেলতে যাওয়া কনসিসাঁও বল পেয়েই রুবেন দিয়াসের পাস ধরে ছুটলেন ডানদিকের উইং ধরে। গতির ঝড় তুলে পৌঁছে গেলেন ডি-বক্সের কাছে, তারপর নিলেন এক দুর্দান্ত বুলেট গতির শট। জার্মান গোলরক্ষক টার স্টেগান পুরো শক্তি দিয়েও রুখতে পারেননি—চোখধাঁধানো ভঙ্গিতে বল জালে জড়িয়ে যায়।

এর ঠিক পাঁচ মিনিট পরেই আসে দ্বিতীয় গোল—রোনালদোর পা থেকে। কিন্তু ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া গোলটি ছিল ফ্রান্সিসকো কনসিসাঁওয়ের। ২৫ বছর আগে যেমনটা করেছিলেন তাঁর বাবা সার্জিও, এবার ঠিক তেমনভাবেই জার্মানিকে কাবু করলেন ছেলে ফ্রান্সিসকো। ইতিহাস যেন নিজেরাই লিখে রাখলেন—পিতা ও পুত্র।

No comments found