close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

২১ দফায় ই স রা য়ে লে ই রা নে র রকেটবৃষ্টি! নি হ ত ৪০০

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ইসরায়েলের ওপর আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান। ২১ দফায় হামলায় নিহত ৪০০। সামরিক ঘাঁটি, বিজ্ঞানীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত। পাল্টা হামলায় ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস III’ জোরদার করছে তেহরান।..

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছে। ইসরায়েল-ইরান দ্বন্দ্ব এখন সরাসরি রকেট যুদ্ধের রূপ নিয়েছে। ইরান আবারও ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসেই ২১ দফা আঘাত হানল তেহরান।

সোমবার, ২৩ জুন, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ জানায়, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক প্রতিশোধ চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। ইসরায়েলের আগ্রাসী ও উসকানিমূলক হামলার জবাবে এ প্রতিক্রিয়া বলে দাবি করেছে তারা।

ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) এক বিবৃতিতে জানায়,ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ও প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপনাগুলোতে ধারাবাহিক ও কার্যকর হামলা চালানো হবে। আমাদের প্রতিশোধ চলবে যতক্ষণ না অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত হয়।

চলমান এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে ১৩ জুন, যখন ইসরায়েল সরাসরি ইরানে বড় পরিসরের হামলা চালায়।

এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরমাণু স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি, ও আবাসিক এলাকা। প্রাণ হারান ৪০০-এর বেশি ইরানি নাগরিক, যাদের মধ্যে ছিলেন পরমাণুবিজ্ঞানী, সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তা এবং নিরীহ সাধারণ মানুষ।

এই হামলার পর পরই ইরান শুরু করে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস III’, যার আওতায় চলতি জুন মাসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চালানো হয় একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।

এখন পর্যন্ত ইরানের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, তারা ২১ দফায় ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর ফলে ইসরায়েলের কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। যদিও ইসরায়েল সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ প্রকাশ করেনি।

বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের পাল্টাপাল্টি হামলা মধ্যপ্রাচ্যকে একটি বড় যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন,ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ এই অঞ্চলের নিরাপত্তা কাঠামো ভেঙে ফেলতে পারে। এতে যুক্ত হতে পারে আরও আঞ্চলিক শক্তি।

ইরান ঘোষণা দিয়েছে, ইসরায়েল যদি আরও হামলা চালায়, তবে এর জবাবে আরও ভয়াবহ ধ্বংস আসবে।
তেহরান সরকারের এক মুখপাত্র বলেন,আমরা প্রতিরোধ করছি, প্রতিশোধ নিচ্ছি। ইসরায়েলকে বোঝাতে হবে, এই আগ্রাসনের মূল্য চুকাতে হবে তাদের।

সর্বশেষ হামলায় ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে সূত্র বলছে, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে এখন কেবল ক্ষেপণাস্ত্রের শব্দ। যুদ্ধ যেন দরজায় কড়া নাড়ছে। ইরান-ইসরায়েলের এই উত্তপ্ত লড়াই থামানোর কোনো লক্ষণ নেই। বিশ্ববাসী দুশ্চিন্তায় — কখন শুরু হয় পরবর্তী বড় ধ্বংসযজ্ঞ?

No comments found