close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
১৭ বছর পর ন্যায়বিচার! ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ আদালতের
১৭ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের জন্য। দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ তাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন, যা নিয়োগবঞ্চিতদের জীবনে নতুন আলোর দিশা নিয়ে এলো।
আদালতের রায়ের গুরুত্বপূর্ণ দিকসমূহ:
আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন দোলন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক।
২০২৪ সালের ৭ নভেম্বর আপিল বিভাগ ২৭তম বিসিএসের নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থীদের পক্ষে করা আপিল শুনানি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের শুনানি শেষে আদালত নিয়োগবঞ্চিতদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার চূড়ান্ত নির্দেশ দেন।
মামলার পেছনের গল্প:
২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি: ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় ৩,৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হন।
৩০ মে ২০০৭: তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
১ জুলাই ২০০৭: পিএসসি অফিসিয়ালি প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিল করে।
২৯ জুলাই ২০০৭: দ্বিতীয়বারের মতো মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৮: দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষায় ৩,২২৯ জন উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগ পান। তবে ১,১৩৭ জন প্রার্থী বঞ্চিত হন।
আইনি লড়াইয়ের পথ:
২০০৮ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ প্রথম মৌখিক পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তকে বৈধ ঘোষণা করে। কিন্তু ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অবৈধ ঘোষণা করে আরেকটি বেঞ্চ। এরপর নিয়োগবঞ্চিত প্রার্থীরা আপিল বিভাগে যান। দুই পক্ষের লম্বা আইনি লড়াই শেষে ২০২৪ সালে ন্যায়বিচারের মুখ দেখেন নিয়োগবঞ্চিতরা।
কেন এই রায় গুরুত্বপূর্ণ?
এই রায় শুধু নিয়োগবঞ্চিতদের জন্য নয়, বরং দেশের বিচার ব্যবস্থার জন্যও একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। এটি প্রমাণ করে যে ন্যায়বিচার পেতে সময় লাগলেও, সত্যের জয় অনিবার্য।
নিয়োগবঞ্চিতদের অনুভূতি:
রায় ঘোষণার পর নিয়োগবঞ্চিতদের মধ্যে উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে একজন বলেন, “১৭ বছর পর অবশেষে ন্যায়বিচার পেলাম। এটা আমাদের জীবনের সেরা খবর।”
এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো—ন্যায়বিচার ধীর হলেও অটল!
لم يتم العثور على تعليقات



















